ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: কাঁথির (Kanthi-Purba Medinipur) ঝাওয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির (Jhawa Samabay Krishi Unnayan Samiti) নির্বাচনে ভোট লুঠের অভিযোগ উঠল।  তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে ভোট লুঠের (Irregularities in Election)  অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি (BJP)। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।


ভোট লুঠের এই অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে কাঁথির ২নম্বর ব্লকে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট লুঠের অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। রবিবার কাঁথির ঝাওয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে ৩২টি আসনে নির্বাচন ছিল। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, নির্বাচন চলাকালীন তাদের প্রার্থীদের মারধর করে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। 


কাঁথি উত্তরের বিজেপি বিধায়ক সুমিতা সিন্হা বলেছেন, বিজেপির মনোনীত প্রার্থী ও এজেন্টের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি এবং মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। এরপরই বিজেপির তরফে এই ভিডিও প্রকাশ করে ভোট লুঠের অভিযোগ তোলা হয়। একটি ভিডিও ট্যুইট করে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ট্যুইটে লিখেছেন,  ‘গণতান্ত্রিক’ পশ্চিমবঙ্গে একটি সাধারণ দিন!!! এটি একটি উদাহরণ যে, কীভাবে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস, তার গুন্ডাদের সক্রিয় করে একটি সমবায় কৃষি সমিতির মতো গুরুত্বহীন নির্বাচনেও ভোট লুঠ করছে।


এই প্রেক্ষাপটে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে সোমবার কাঁথি কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কে ডেপুটেশন দেওয়া হয় বিজেপির তরফে। 


যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক উত্তম বারিক বলেছেন, কোনও ভোট লুঠপাট হয়নি। যে ব্যালটগুলো দেখিয়ে লুঠের দাবি করছে সেগুলো ভোট হওয়ার পর নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।


প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে কাঁথি পুরসভায় ভোট লুঠের পরিকল্পনা করছে তৃণমূল। রবিবারই একটি নোটিস তুলে ধরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি। আর এবার সমবায় সমিতির নির্বাচনেও ভোট লুঠের অভিযোগ তুলল গেরুয়া শিবির। উল্লেখ্য, পুরভোটের আগে পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূল ও বিজেপির চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল ও বিজেপি।