রুমা পাল, কলকাতা: ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে একজন প্রার্থীর ভোটের কাজে খরচের সীমা বাড়ালো নির্বাচন কমিশন। একজন প্রার্থী বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের কাজে খরচ করতে পারবেন ৩০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। গত বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত যা ছিল ২৮ লক্ষ ৷ এবার তা বেড়ে দাঁড়াল ৩০ লক্ষ ৮০ হাজার। এমনকী, লোকসভা নির্বাচনেও প্রার্থীদের ভোটের কাজে খরচের সীমা বাড়ানো হলো আরও সাত লক্ষ ৷ অর্থাৎ গত লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত একজন প্রার্থী ভোটে খরচ করতে পারতেন ৭০ লক্ষ টাকা ৷ এবার থেকে খরচ করতে পারবেন ৭৭ লক্ষ টাকা। কিন্তু এই খরচের উৎস কী ? তা জানাতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।


অন্যদিকে একটি রাজনৈতিক দল কত টাকা খরচ করতে পারবে তা নিয়ে কোনও সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশন একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিও গঠন করেছে ৷ যারা ঠিক করবে এই খরচ আর বাড়ানো যায় কিনা। ইতিমধ্যেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি চলছে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরে। ইতিমধ্যেই সিইও দফতর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সমস্ত জেলার জেলাশাসকের নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে, যে বুথের সমস্ত প্রস্তুতি রিপোর্ট পাঠাতে হবে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৷ যে কোনও দিন নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে পারে। বৃহস্পতিবারই আয়কর দফতরের সমস্ত জেলার নোডাল অফিসার এবং আবগারি দফতরের জেলার নোডাল অফিসারদের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরের কর্তারা ট্রেনিং দেবেন। সঙ্গে থাকবেন আয়কর এবং আবগারি দফতরের কর্তারাও।


নির্বাচন একদম দোরগোড়ায় ৷ তার আগে কালো টাকা ঢুকতে এবং বেআইনি মদ ঠেকাতে কী কী ভূমিকা নিতে হবে এবং কতটা তৎপর হতে হবে, তার সঙ্গে সমস্ত রিপোর্ট কমিশনের কাছে তুলে ধরতে হবে, তা নিয়ে চলবে ট্রেনিং। শুক্রবারও মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাব বৈঠক করবেন আয়কর , আবগারি নারকোটিকস, ইডি, বিএসএফ, সিআরপিএফ রেলওয়ে এবং এয়ারপোর্ট অথরিটি-সহ ২০টি এজেন্সির সঙ্গে ৷ যারা নির্বাচনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে এসে আইন শৃঙ্খলা এবং বাজেয়াপ্তকরণ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিল না। পাশাপাশি কমিশন বলে গিয়েছিল প্রার্থীদের খরচ সংক্রান্ত বিষয়ে খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষ অবজারভার পাঠানো হবে রাজ্যে। নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ যখন আবারো শহরে আসবে তখন যাতে তাঁরা কোনও রিপোর্ট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ না করেন, সেদিকে লক্ষ্য রাখছে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতর । অন্যদিকে কমিশন নির্দেশ দিয়েছিল যে ২৯৫০টি বুথ প্রথম তলায় রয়েছে তাদের গ্রাউন্ড ফ্লোরে অর্থাৎ এক তলায় নিয়ে আসতে হবে। অন্যদিকে এবার বুথের সংখ্যা বেড়েছে ৭৮ হাজার ৯০৩ এবং অক্সিলারি বুথের সংখ্যা ১ লাখ ১ হাজার ৭৯০। এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কর্মীও প্রয়োজন প্রায় ৫০ হাজার।


অন্যদিকে সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে যাতে কোনও অযাচিত সামগ্রী রাজ্যে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে সমস্ত এজেন্সিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কালো টাকা, বেআইনি মদ, বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র রুখতে কড়া নজর রাখছে কমিশন।