অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: এক গ্রামবাসীকে শুঁড়ে তুলে আছড়ে মারল দাঁতাল। এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে ঝাড়গ্রামে। প্রায়ই হাতির হানায় এমনিতেই ক্ষোভ বাড়ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। আজ হাতির হানায় এক ব্যক্তি মৃত্যুর জেরে ফুঁসে ওঠেন কলাবনির বাসিন্দারা। রাজ্য সড়ক আটকে বিক্ষোভ-অবরোধ চলে প্রায় ৩ ঘণ্টা। অবশেষে বন দফতর ও প্রশাসনিক আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। 


গত এক বছরে ঝাড়গ্রামে হাতির হানায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। হাতির তাণ্ডবে বাড়ছিল ক্ষোভ। আজ ফের হাতি এক গ্রামবাসীকে আছড়ে মারায় বাঁধ ভাঙল ধৈর্য্যের। এই তাণ্ডবের স্থায়ী সমাধানের দাবিতে আজ ঝাড়গ্রামের কলাবনি সংলগ্ন রাজ্য সড়ক অবরোধ-করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের সবারই দাবি, ‘আমাদের এখানে হাতি দীর্ঘদিন হানা দিচ্ছে। প্রায়ই গ্রামে ঢোকে হাতি। দিনের পর দিন তাণ্ডব চালায়। বারবার বন দফতরকে বলেও কোনও সমাধান হচ্ছে না। আমরা এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই।’


দলমা থেকে ঢুকে পড়া হাতির দলের ৪-৫টি ঝাড়গ্রামে রয়ে গিয়েছে দীর্ঘদিন। সেই রেসিডেন্সিয়াল হাতিরাই  বাগানের আম-কাঁঠাল থেকে ক্ষেতের আলু-কপি, মিডে-ডে মিলের চাল থেকে গোলার ধান সাবাড় করছে দিনের পর দিন। আজ হাতির হানায় প্রাণ যায় কলাবনির বাসিন্দা বছর পঁয়তাল্লিশের পাড়ু মাহাতোর। বড়িয়ার জঙ্গলে মহুয়া সংগ্রহে গিয়েছিলেন এই ব্যক্তি। পিছনে যে দাঁতাল, তা তিনি বুঝতেই পারেননি। মুখোমুখি হতেই তাঁকে শুঁড়ে তুলে আছড়ে মারে হাতিটি। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। অশোক মহাতাো নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেছেন, ‘তিন-চার মাস হল শালবনি থেকে জিতুশোল হাতি ঢুকছে। প্রশাসনকে বলেও কোনও লাভ হচ্ছে না। আমরা এর সমাধান চাই।’


ঝাড়গ্রামের ডিএফও জে শেখ ফরিদ জানিয়েছেন, ‘হাতির হামলা পাড়ু মাহাতো মারা গিয়েছেন। আজ বিকেলে বাড়ি গিয়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ 


আজ রাজ্য-সড়কে অবরোধ তুলতে ঘটনাস্থলে যান বন দফতরের আধিকারিক ও পুলিশ আধিকারিকরা। ক্ষতিপূরণ ও স্থায়ী সমাধানের আশ্বাসে অবরোধ-বিক্ষোভ তুলে নেন বাসিন্দারা।