রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: করোনা আবহেও ডুয়ার্সে হাতিপুজোয় পর্যটকদের ঢল। প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্বকর্মার সঙ্গে পুজো করা হয় কুনকি হাতিদেরও। আজ সকাল থেকে কুনকি হাতিদের আনন্দের সীমা ছিল না। বসন্ত, ফাল্গুনী, ভোলানাথ, রাজা-কারও কাজ ছিল না। বরং সকাল থেকে নাম লেখা নতুন চাদর গায়ে চড়িয়ে তৈরি ছিল ওরা।


বিশ্বকর্মার বাহন হাতি। বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে গরুমারা জাতীয় উদ্যানের গাছবাড়িতে পুজো করা হল কুনকি হাতিদের। তা দেখতে করোনা আবহেও ঢল নামল পর্যটকদের। শাঁখ বাজিয়ে, উলুধ্বনি দিয়ে, মন্ত্র উচ্চারণ করে নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গেই হাতি পুজো করা হয়। গ্রামবাসীদের সঙ্গে পর্যটকেরাও পুজোতে অংশ নেন। তাঁরাও সকাল থেকে পুজো শেষ না হওয়া পর্যন্ত উপোস করে থাকেন।

কুনকি হাতিগুলিকে প্রথমে মূর্তি নদীতে নিয়ে গিয়ে ভাল করে স্নান করানো হয়। এরপর তাদের নানা রঙের চক দিয়ে সাজানো হয়। প্রতিটি হাতির গায়ে তাদের নাম লিখে দেওয়া হয়। তারপর তাদের পুজো মন্ডপে নিয়ে আসা হয়। শাঁখ বাজে, উলুধ্বনিও দেওয়া হয়। পুরোহিত নিয়মনীতি মেনে মন্ত্র উচ্চারন করে পুজো করেন। পুজো শেষ হলেই হাতিদের ভাল করে খাওয়ানো হয়। পর্যটকরাও কলা, আপেল সহ অন্যান্য ফলমুল হাতিদের নিজের হাতে খাইয়ে দেন। শেষে গ্রামবাসীদের সঙ্গে বসেই পর্যটকরা খাওয়া সারেন।

করোনা-কালে একে একে পর্যটনকেন্দ্রগুলির দরজা খুলছে। ইকো পর্যটন কেন্দ্র গাছবাড়ি খোলা থাকায় আসছেন পর্যটকরা। করোনা-কালে হাতিপুজোতেও দেখা গেল পর্যটকদের ভিড়।