আলিপুরদুয়ার: ভুল চিকিৎসা বা চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ নয়, এবার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে পুলিশের জালে জড়িয়ে গেলেন ভুয়ো ডাক্তার!!!
স্ত্রীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে নিজের চেম্বারেই হাতেনাতে ধরা পড়ে গেলেন ভুয়ো দাঁতের ডাক্তার।
সাইনবোর্ডে চকচক করছে, ডঃ গোপাল বিশ্বাস, ডেন্টাল সার্জেন। অভিযোগ, ফালাকাটার মাদারিহাট রোডের এই ওষুধের দোকানেই প্রায় ১০ বছর ধরে চিকিৎসা করছিলেন এই ভুয়ো ডাক্তার।
কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি। কিন্তু স্ত্রী-সন্তানকে রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাওয়াটাই কাল হল। অভিযুক্তের স্ত্রী যমুনা বিশ্বাস বলেন, সম্প্রতি সম্পর্কের অবনতি হচ্ছিল। ও বিয়ে করতে যায়। তখন সিদ্ধান্ত নিই শাস্তি পাওয়া উচিত।
অভিযুক্তের স্ত্রীর দাবি, ১৯ জুন কোচবিহারের বক্সিরহাটে দ্বিতীয় বিয়ে করতে যান গোপাল। স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তবে পরের দিনই জামিনে ছাড়া পেয়ে যান অভিযুক্ত।
এরপর ২১ জুন স্বামীর ডাক্তারির বৈধ সার্টিফিকেট নিয়ে প্রশ্ন তুলে আলিপুরদুয়ারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যমুনা। ২২ জুন ফালাকাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
তারপর শনিবার রাতে মাদারিহাট রোডের চেম্বারে হানা দেয় পুলিশ। সূত্রের খবর, সেইসময় রোগী দেখছিলেন গোপাল বিশ্বাস। তাঁর কাছে সার্টিফিকেট দেখতে চান তদতন্তকারীরা।
কিন্তু, দেখাতে না পারায় তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সরকারি আইনজীবী বলেন, ফেক ডাক্তার হিসেবে জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চিকিৎসা করত। পুলিশ গ্রেফতার করে।
রবিবার আলিপুরদুয়ার জেলা আদালতে তোলা হলে, অভিযুক্ত ভুয়ো ডাক্তারকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।