মালদা: দক্ষিণবঙ্গের পর এবার উত্তরবঙ্গ। এবার মালদার সামসির কাজলদিঘি গ্রামে ভেজাল তেলের কারবারের পর্দাফাঁস। গ্রেফতার ৪। পলাতক ভেজাল কারবারের পাণ্ডা।
সসপ্যানের মধ্যে পাউডার রং। মেশানো হচ্ছে তরল কোনও পদার্থ! তৈরি হচ্ছে ভেজাল তেল! বুধবার দুপুরে চাঁচলের মহকুমাশাসক কারখানায় হানা না দিলে কেউ জানতেই পারত না, আপাত নিরীহ তেলের কারখানায় কীভাবে দিনের পর দিন ধরে চলছিল অসাধু কারবার!
পুলিশ পৌঁছনোর আগেই অবশ্য পালিয়ে যান কারখানার মালিক সঞ্জয় সাহা। গ্রেফতার করা হয় ৪ কর্মীকে। সব খতিয়ে দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, ভেজাল তেল টিনে ভরার পর, তাতে লাগিয়ে দেওয়া হত নামী ব্র্যান্ডের লেভেল। এরপর রাত্রিবেলা হাজার হাজার ভেজাল তেলের টিন গাড়িতে চাপিয়ে পাচার করা হত উত্তরবঙ্গ ও পার্শ্ববর্তী রাজ্যে।
চাঁচল মহকুমাশাসক দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমাদের কাছে খবর এসেছে, আমরা পুলিশকেও বলেছি। বিভিন্ন জায়গায় পাচার করা হত। এদিন হানা দিয়ে মাটির তলায় ভেজাল তেল মজুতের গোপন চেম্বারের হদিশ মিলেছে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর নামী ব্র্যান্ডের তেলের টিন! বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ভেজাল তেল তৈরির সরঞ্জাম!
এর আগে কখনও নদিয়ার শান্তিপুর, কখনও বাদকুল্লা, আবার কখনও দেগঙ্গায় একের পর এক ভেজাল কারবারের পর্দাফাঁস হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন অনেকে। কিন্তু, এত কিছুর পরও অসাধু ব্যবসায়ীরা যে ক্ষান্ত হয়নি, তারই প্রমাণ এবার মিলল মালদায়!