দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভোটের দিন গুলি-বোমা দেখেছে পূজালি। ভোটের ফলে দেখা গেল, পূজালিতে ভূতুড়ে ভোট।  নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, পূজালির ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ২২ নম্বর বুথে মোট ভোটার ৬৮৮।এর মধ্যে অন্তত ১৪ জন মারা গিয়েছেন।


অর্থাৎ‍, সর্বোচ্চ ভোট পড়ার কথা ৬৭৪ জনের।

অথচ, ভোট পড়েছে ৬৮২টি।

বিরোধীদের প্রশ্ন, ভোট কি তা হলে ভূতে দিল? এবিপি আনন্দ খোঁজ করে দেখেছে, পূজালির ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার লিস্টে নাম থাকা বেশ কয়েকজন মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে আমরা সন্ধান পেয়েছি ১৪ জনের। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি গিয়েছি আমরা।

এরা সকলে মারা গেলেও, সবার নামই ভোটার লিস্টে রয়েছে।

কিন্তু, ভোটার লিস্টে নাম থাকলেও, মৃত ব্যক্তি তো আর ভোট দিতে যাননি! তা হলে যে বুথে সর্বোচ্চ ৬৭৪টি ভোট পড়ার কথা, সেখানে ৬৮২টি ভোট পড়ল কী ভাবে?

মৃতদের পরিবারের সদস্যদেরও প্রশ্ন, যিনি মারা গিয়েছেন, তিনি কীভাবে ভোট দেবেন?

এক মৃত ভোটারের পুত্রবধূ জানালেন, আমার শ্বাশুড়ি বছর দুয়েক আগে মারা গিয়েছেন। আমি ভোট দিতে গিয়েছিলাম। পারিনি। বলেছে ভোট হয়ে গিয়েছে। কালি লাগাতে বলেছিল। লাগাইনি।

এমন দাবি আরও অনেকেই করেছেন।

অনেকে মারা গিয়েছেন। অনেকের আবার দাবি, ভোট দিতে পারেননি। তা হলে কোন জাদুতে ২২ নম্বর বুথে এত ভোট পড়ল?

তা হলে কি ভূতূড়ে ভোটে জিতলেন নির্দল প্রার্থী রিঙ্কু নস্কর?  তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট বললেন,এটা নির্বাচন কমিশনের দেখার ভার। আমরা কী জানি!

৪৬ ভোটে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জেতার কিছুক্ষণের মধ্যেই তৃণমূলে যোগ দেন রিঙ্কু নস্কর।

বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলছে, যেখানে ভূতে ভোট দেয়, সেখানে নির্দলও জিতে যায়।