অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। ছেলে হারালো এক মা! অথচ, ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পরও মূল অভিযুক্ত তথা তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ! পুলিশের উপর আর আস্থা নেই পরিবারের। সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে তারা। থমথমে গ্রামে পুলিশি টহলদারি চলছে।
নিহত কলেজ পড়ুয়া কৌশিক পুরকায়স্থর বাড়িতে যান কংগ্রেস ও বিজেপি নেতারা।
পুলিশের দাবি, তারা নাকি ঘটনার পরদিন সকালে অর্থাৎ মঙ্গলবার ভোরে, তল্লাশি চালিয়েছিল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তাপস মল্লিকের বাড়িতে! কিন্তু, নেতা নাকি তখন বাড়িতে ছিলেন না! অথচ, খোদ অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার মা-বাবা বলছেন, মঙ্গলবার বেলা পর্যন্ত ছেলে বাড়িতেই ছিল!
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার পরিবারের আরও বক্তব্য, মঙ্গলবার সকালে নয়, পুলিশ বাড়িতে আসে মঙ্গলবার রাতে। তাপস বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অনেক পরে!
কিন্তু, মঙ্গলবার দুপুরেই যখন তৃণমূল নেতার নাম করে এফআইআর দায়ের করে নিহত ছাত্রের পরিবার, তখন তাঁর বাড়িতে তল্লাশিতে যেতে পুলিশের এত সময় লাগল কেন? পুলিশের একাংশের দাবি, তৃণমূলের এই দাপুটে নেতার বাড়িতে যাওয়ার জন্য শাসকদলের ছাড়পত্রের অপেক্ষা করছিল তারা। সেই কারণেই দেরি হয়ে যায়।
শুধু কি তাই! সূত্রের দাবি, স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার পরামর্শেই নাকি এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেন তাপস মল্লিক। এমনকী, পুলিশের একাংশের আরও দাবি, পালানোর আগে তৃণমূলের এক শ্রমিক নেতাকে একাধিকবার ফোন করেন তাপস
যদিও এ নিয়ে মন্তব্যে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
এই পরিস্থিতিতে পুলিশে আস্থা হারিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব নিহত ছাত্রের পরিবার।
ঘটনা জেরে এখনও থমথমে বাহাদুরপুর। প্রায় জনশূন্য গ্রাম। সকাল থেকে এলাকায় শুরু হয়েছে পুলিশি টহলদারি।
এদিন দুপুরে মন্দিরবাজারের গুমকি গ্রামে নিহত কলেজ পড়ুয়ার বাড়িতে যান বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি মহিলা মোর্চার প্রতিনিধিরাও। নিহতের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকের সঙ্গে দেখা করে কংগ্রেসের এক প্রতিনিধিদলও।
সবার প্রশ্ন, কবে ধরা পড়বে অভিযুক্ত?