বর্ধমান: চলন্ত বাসে জানালার পাশে বসে মোবাইল ফোনে অন্যমনস্ক হয়ে কথা বলার মাসুল। কাটা গেল কলেজ ছাত্রীর হাত। ছাত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত এক যুবকও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছাত্রীকে পাঠানো হয়েছে কলকাতায়। তরুণের চিকিত্সা চলছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে।


মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে অসতর্ক হয়ে পড়ার মাসুল গুণতে হল নিজের হাত দিয়ে। বেপরোয়া লরি কনুই থেকে হাত কেটে নিয়ে গেল কলেজ ছাত্রীর।

বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে বর্ধমান রায়নার শেহারাবাজার এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, রায়না থেকে বাসে করে বর্ধমানে টিউশন পড়তে যাচ্ছিলেন শ্রাবণী নায়েক নামে কলেজ ছাত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ডান দিকের জানালার ধারে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন তিনি। খেয়াল করেননি, ডান হাত বেরিয়ে গিয়েছে জানালার বাইরে। শেহারাবাজার এলাকায় উল্টো দিক থেকে আসা একটি লরি দ্রুতগতিতে বাসটির গা ঘেঁষে চলে গেলে কনুই থেকে কাটা পড়ে তরুণীর ডান হাত।

ছাত্রীটিকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন বাসেরই যাত্রী, ইমানুল ইসলাম নামে এক তরুণ। গুরুতর আহত অবস্থায় শ্রাবণীকে উদ্ধার করে প্রথমে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান বাসের যাত্রীরাই। পরে কলকাতায় এনে তাঁকে ভর্তি করা হয়ে আলিপুরের একটি হাসপাতালে। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, তরুণীর হাতে অস্ত্রোপচার হয়েছে।

আহত যুবকের চিকিত্সা চলছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

এমন ঘটনা এই প্রথম নয়।

৪ মে, ২০১৫। ঠাকুরপুকুরে দু’টি গাড়ির রেষারেষিতে কব্জি থেকে বাঁ হাতের অংশ কেটে যায় হাওড়ার বাগনানের বাসিন্দা এক মহিলার।

৩০ জানুয়ারি, ২০১৩। শিয়ালদায় জগত্‍ সিনেমার কাছে দুই বাসের রেষারেষির জেরে ট্রামে ঘষা লেগে একইভাবে কাটা পড়ে সুকুমার রায় নামে রাজাবাজারের এক বাসিন্দার বাঁ হাত।

এবার হাত খোয়ালেন এক কলেজ পড়ুয়া।