পূর্ব মেদিনীপুর: কাঁথির অশোক দ্বিবেদীর বিরুদ্ধে সুপারি কিলার দিয়ে ছেলেকে খুন করানোর যে অভিযোগ উঠেছে, তার নেপথ্য কারণ খুঁজে বের করার ওপরই এখন জোর দিচ্ছে পুলিশ।
কাঁথিতে অনিমেষ দ্বিবেদী খুনের ঘটনায় তাঁর বাবাকে গ্রেফতারের পর নানা সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এক, সম্পত্তির লোভ। দুই, ছেলের চরম উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন।
প্রতিবেশীদের দাবি, দ্বিবেদী পরিবারের এক অদ্ভুত বৈশিষ্ঠ্য আছে। এখানে কোনও পুরুষেই বাবা-ছেলের সম্পর্ক শেষ অবধি ভাল থাকে না। অনিমেষের বাবা অশোক দ্বিবেদীর সঙ্গেও তাঁর বাবার সম্পর্ক নাকি রীতিমতো তিক্ত হয়ে উঠেছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেই জন্য অশোক দ্বিবেদীর বাবা নিজের জমি-জায়গা ছেলেকে এড়িয়ে দুই নাতির নামে লিখে দেন।
প্রতিবেশীদের দাবি, এরপর থেকেই ছোট ছেলে অনিমেষের সঙ্গে বাবা অশোক দ্বিবেদীর সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। প্রতিবেশীদের একাংশের দাবি, সম্ভবত, বাবার কোনও দুর্বলতার কথাও জানত অনিমেষ।
তবে কি শেষমেশ বাবার হাতে ছেলের রক্তের দাগ লাগাল সম্পত্তির লোভই?
পুলিশ সূত্রে আবার খবর, জেরায় ধৃত অশোক দ্বিবেদী দাবি করেছেন, ছেলের উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনে অতিষ্ঠ ছিলেন তিনি। বার বার বলেও শোধরাতে পারছিলেন না। তাই সুপারি কিলার দিয়ে ছেলেকে খুন করিয়েছেন তিনি। অনিমেষের মায়েরও দাবি, ছেলে নাকি একবার এমন কাণ্ড করেছিল যে, তারপর থেকে বাড়ির মহিলারা তার ঘরে ঢুকতে পর্যন্ত ভয় পেত।
তবে এসব আপাতত তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। অনেকেরই প্রশ্ন, ছেলে যতই উচ্ছৃঙ্খল হোক, কোনও বাবা সুপারি কিলার দিয়ে তাকে খুন করাতে পারে কীকরে? আপাতত পুলিশ হাজতে ছেলেকে খুন করানোয় অভিযুক্ত বাবা।