কলকাতা: রাজ্য বিধানসভা ভোটের রণ কৌশলে এবার রথযাত্রাকে ব্যবহার করতে চলেছে বিজেপি। ঠিক হয়েছে, রাজ্য জুড়ে তারা বার করবে ৫টি রথযাত্রা। এভাবে রাজ্যবাসীর কাছে পৌঁছনো তো যাবেই, পাশাপাশি দেওয়া হবে পরিবর্তনের বার্তা।

জানা গিয়েছে, বিজেপি ঠিক করেছে, রাজ্যের ৫টি আলাদা আলাদা ক্ষেত্র থেকে বার হবে এই রথযাত্রা, এর মাধ্যমে ২৯৪টি বিধানসভা আসনই কভার করার চেষ্টা হবে। অর্থাৎ প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র ছুঁয়ে যাবে তাদের যাত্রা, যাতে সকলের কাছে পরিবর্তনের বার্তা পৌঁছে যায়। ফেব্রুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে এই রথযাত্রা শুরু হতে পারে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে এ ব্যাপারে শুক্রবার হয় বৈঠক। এতে যোগ দেওয়া রাজ্য বিজেপির এক নেতা এবিপি আনন্দকে বলেছেন, বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রায় এক মাস ধরে ৫টি রথযাত্রা বার করবে, এর মাধ্যমে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রেই পৌঁছে যাবে তারা। রথযাত্রার নেতৃত্ব দেবেন দলের বরিষ্ঠ কয়েকজন নেতা। এমনভাবে সূচী তৈরি হবে, যাতে দলের যে বরিষ্ঠ নেতা যাত্রা শুরু করবেন, তিনি গোটা সপ্তাহ তার সঙ্গে যুক্ত থাকেন ও বিধানসভা ক্ষেত্র অনুযায়ী স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব সেই যাত্রায় সামিল হবে। খুব শিগগিরই যাত্রার পথ ও অন্যান্য বিষয়গুলির ওপর আলোচনা সম্পূর্ণ হবে।

পশ্চিমবঙ্গে এবারের বিধানসভা ভোট হবে হাড্ডাহাড্ডি, বলছে ওয়াকিবহাল মহল। ভোটের চালচিত্র মুহুর্মুহু পাল্টে যাচ্ছে, শুভেন্দু অধিকারী, শীলভদ্র দত্ত সহ কয়েকজন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আবার তৃণমূল তুলে নিয়েছে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁকে। বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় বেসুরো গেয়েছিলেন, দিল্লি যাওয়ার কথাও বলেছিলেন। জল্পনা চলছিল, তিনি অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে বিজেপিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তৃণমূল তা আটকেছে, দলে থাকার পুরস্কার হিসেবে দলের রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি করা হয়েছে তাঁকে।