শীতলকুচি গুলিকাণ্ডে কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করল সিআইডি। সূত্রের খবর, দেবাশিস ধরের বয়ানের ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। তাঁর বয়ান, অন্যদের সঙ্গে মিলিয়ে দেখবে সিআইডি। সূত্রের খবর, আগামী ২২ জুন দেবাশিস ধরকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।


গত ১০ এপ্রিল, চতুর্থ দফা ভোটের দিন, কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মারা যান ৪ জন। সেই মামলায় এবার, কোচবিহারের তৎকালীন পুলিশ সুপার ও সাসপেন্ডেড আইপিএস দেবাশিস ধরকে ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করল সিআইডির স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম।


শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে ভবানীভবনে সিআইডির এক ডিআইজির নেতৃত্বে সাসপেন্ডেড IPS দেবাশিস ধরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে করে বিশেষ তদন্তকারী দল। সূত্রের দাবি, তদন্তকারীরা দেবাশিস ধরের কাছে জানতে চান, কী প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গুলি চালাতে হল?


পুলিশ সুপার হিসেবে তিনি কখন এই ঘটনার খবর পান? বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর পরে পুলিশ সুপার হিসেবে অফিসারদের কী নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি? সিআইডির পর গত ৭ জুন, জোড়পাটকি গ্রামে গিয়ে ঘটনাস্থল পরীক্ষা করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। 


জানা যায়, ১০ এপ্রিল, বুথের দরজা ভেদ করে বুলেট গিয়ে বিঁধেছিল ব্ল্যাকবোর্ডের পাশে। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা দেবাশিস ধরের কাছে জানতে চান, কী এমন পরিস্থিতি তৈরি হল, যাতে বুথ লক্ষ্য করে গুলি চালাতে হল?


১০ এপ্রিল গুলি চালনার পর কোচবিহারের তৎকালীন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধর যে দাবি করেছিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সিআইডি। কেন, কীসের ভিত্তিতে দেবাশিস ধর এই দাবি করেছিলেন, সে বিষয়ে জানতে চান তদন্তকারীরা। পুরো জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। 


শীতলকুচিকাণ্ডে, একাধিক পুলিশ অফিসার, কর্মী ও প্রিসাইডিং অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। প্রত্যেকের বয়ানের সঙ্গে তৎকালীন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরের বয়ান মিলিয়ে দেখা হবে। আগামী ২২ জুন ফের তলব করা হয়েছে কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিশ সুপারকে।