কলকাতা: কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়।
আজ পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন অভিজিৎ। তিনি বলেন, ‘বাম বিরোধিতার জন্যই চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে এসেছি। সম্প্রতি বিজেপি ঝড় রুখে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাথমিক সদস্য হিসেবে তৃণমূলে যোগদান করছি। দেশের সংহতি ও ঐক্য রক্ষার্থে লড়াই চলবে। দল যে দায়িত্ব দেবে, সেভাবেই কাজ করব।’
বাবা ছিলেন কংগ্রেসের অন্যতম প্রধান নেতা। গত কয়েক দশকে জাতীয় রাজনীতিতে অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিলেন প্রণব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি কংগ্রেসের ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’ হিসেবেও তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে গেলেও, আমৃত্যু কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল প্রণবের। কিন্তু তাঁর ছেলেই এবার কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে।
নিজের এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে অভিজিৎ বলেছেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে আমরা বামেদের সঙ্গে লড়াই করছি। মানুষ এটা মেনে নেননি। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে রোখার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে লিডারশিপ দেখিয়েছেন, তা মানুষ গ্রহণ করছেন। সিপিএম-কংগ্রেসের জোট ভুল।’
অভিজিৎ জানিয়েছেন, ২০১০ সালেই তাঁকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন মমতা। সেই সময় যোগ না দিলেও, সম্প্রতি বিধানসভা ভোটের পর যখন তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়, তখন পুরনো সেই প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন। মমতা তাঁকে স্বাগত জানানোয় দল বদলালেন।
৯ জুন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ও তৃণমূলের দুই সাংসদ মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভবনে গিয়ে অভিজিতের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর ২১ জুন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন অভিজিৎ। তারপরই আজ তৃণমূলে যোগ দিলেন তিনি।
বাবার প্রয়াণের পর কংগ্রেস ছাড়লেন। বাবা বেঁচে থাকলে এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করতেন? এ প্রসঙ্গে অভিজিৎ বলেছেন, ‘সনিয়া গাঁধী তাঁর ছেলে রাহুল গাঁধীর জন্য যা করেছেন, প্রণববাবু কি আমাদের জন্য তা করেছেন? বাবা বেঁচে থাকলে বলতেন, সিদ্ধান্ত তোমার নিজের।’