শ্রীরামপুর: মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধান। সোনারপুরকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই হুগলির শ্রীরামপুরে ফাঁস হল ডাকাতির ছক। কিন্তু এবার আর সফল হয়নি দুষ্কৃতীরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সাতজনের গ্যাংকেই গ্রেফতার করল পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে নতুন মাহেশ জল পরিশোধন প্রকল্পের কাছে ওই দুষ্কৃতীরা ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়। স্থানীয় একটি পেট্রোলপাম্প সহ বেশ কয়েকটা দোকানে তাঁদের লুঠের ছক ছিল বলে দাবি তদন্তকারীদের। খবর পেয়ে ওই এলাকায় হানা দিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের থেকে একটি দেশি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, ১০টি বোমা ও বেশ কয়েকটি ধারাল অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।

গত মঙ্গলবার রিষড়ায় গুলিতে খুন হন আলাউদ্দিন শেখ নামে এক ব্যক্তি। মোটর বাইকে করে এসে ৩ দুষ্কৃতী তাঁকে গুলি করে পালায়। সেই ঘটনার সঙ্গে এই দুষ্কৃতীদের যোগ থাকতে পারে বলেও অনুমান গোয়েন্দাদের।

তবে শুধু রিষড়াই নয়, গত দু’মাসে শ্রীরামপুর, চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল-সহ একাধিক এলাকায় খুন এবং বোমাবাজির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায়। ১ এপ্রিল ভরসন্ধ্যায় শ্রীরামপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি নির্মীয়মাণ আবাসনে বোমাবাজি হয়। গত ২৪ মার্চ কোন্নগরে ২ তৃণমূল নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গত ৯ মার্চ সকালে, দুই দুষ্কৃতীদলের বিবাদে গুলি-বোমায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগর।  মৃত্যু হয় ১ জনের। ২০ মার্চ পুলিশ পরিচয় দিয়ে মাঝরাতে বাড়িতে ঢুকে, স্ত্রী ও মেয়ের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে যুবক খুনের ঘটনা ঘটে ব্যান্ডেলে।

বার বার খুন ও বোমাবাজির ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছিল জেলা পুলিশ। বুধবার রাতে অস্ত্র-সহ সাত দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করায় কিছুটা হলেও মুখ রক্ষা হল তাদের।