ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, রহড়া: চোখে মুখে জয়ের উচ্ছ্বাস। লড়াই এবং অধ্যাবসায়কে হাতিয়ার করেই স্বপ্নের পথে যাত্রা শুরু পাঞ্চজন্য দে-র। রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র তিনি। জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে উচ্ছ্বসিত রহড়ার ছাত্র।  


মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৬৯। আর এরপরই শুরু জয়েন্টে সাফল্য পাওয়ার লড়াই। নিজেই জানালেন পাঞ্চজন্য। ঘর ভর্তি রসায়ন থেকে পদার্থবিদ্যার বই। প্রিয় বিষয় পদার্থবিদ্যা। এদিন পাঞ্চজন্য বলেন, “টিভি দেখেই প্রথম জানতে পারলাম পরীক্ষার ফল। প্রস্তুতি ভালই নিয়েছিলাম। তাই ফল ভাল হবে এটা আশা ছিলই। শিক্ষকদের সহায়তা পেয়েছি। তাই কোনওদিন চাপ অনুভব করিনি।’’ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সে পড়ার ইচ্ছা তাঁর। জয়েন্ট এন্ট্রান্স অ্যাডভান্সে ফল ভাল হলে আইআইটি-তেও পড়তে পারেন বলে জানিয়েছেন পাঞ্চজন্য। তিনি জানান,  “লকডাউনের আগে ফুটবল খেলতাম। এখন আর সময় পাই না।’’


পরীক্ষার ২০ দিনের মাথায় হলো জয়েন্টের ফল প্রকাশ। এদিন পর্ষদের তরফে জানানো হয়, ‘৯৯ শতাংশের উপর পরীক্ষার্থী সফল হয়েছেন। ৭৪ শতাংশ ছাত্র, ২৬ শতাংশ ছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ২৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী এসেছিলেন রাজ্যের বাইরে থেকে।’ দ্বিতীয় হয়েছেন বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ছাত্র সৌম্যজিত দত্ত। তৃতীয় হয়েছেন শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল স্কুলের ছাত্র ব্রতীন মণ্ডল। জয়েন্ট এন্ট্রান্সে চতুর্থ হয়েছেন অঙ্কিত মণ্ডল। পঞ্চম হয়েছেন গৌরব দাস। ষষ্ঠ হয়েছেন আয়ুষ গুপ্ত। অষ্টম হয়েছেন সপ্তাশ্ব ভট্টাচার্য। নবম হয়েছেন ঋষি কেজরিওয়াল। এবছর জয়েন্ট এন্ট্রান্সের জন্য নথিভুক্ত করেছিলেন ৯২ হাজার ৬৯৫ পরীক্ষার্থী। কোভিড পরিস্থিতিতেও ৭১ শতাংশ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন। সংখ্যায় তা ৬৫ হাজার ১৭০ জন। তার মধ্যে রাজ্যের পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৬০ হাজার ১০৫ জন। ভিনরাজ্যের পরীক্ষার্থী ৩২ হাজারের বেশি। মোট পরীক্ষার্থীর প্রায় ৪০ শতাংশ। পরীক্ষা হয়েছিল ২৭৪টি কেন্দ্রে। 


জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড জানিয়েছে, রাজ্যের সরকারি-বেসরকারি ১১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য অনলাইনে কাউন্সেলিং শুরু হবে ১৩ অগাস্ট। তিনটি স্তরে কাউন্সেলিং চলবে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। কাউন্সেলিংয়ের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে একবারই এবং তা বাধ্যমূলক। বোর্ড জানিয়েছে, অতিমারির সময় ভর্তির কাউন্সেলিং পর্ব এবার সরলীকরণ করা হয়েছে।