প্রকাশ সিন্হা ও রঞ্জিৎ সাউ: কার্বাইন থেকে শুরু করে ৭ এমএম পিস্তল ও কার্তুজ সহ বিহারের মুঙ্গেরের বাসিন্দা এক যুবককে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। 


গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ ভোররাতে এসটিএফ অভিযান চালায়। রাজ্য পুলিশের এসটিএফ-এর সঙ্গে অভিযানে সামিল হয় নারায়ণপুর থানার পুলিশও।  


ডানকুনিতে একটি বাস থেকে মুঙ্গেরের বাসিন্দা অমর কুমারকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি কার্বাইন, ৫টি সেভেন এম এম পিস্তল  ও প্রচুর কার্তুজ। 


কার কাছে অস্ত্র পাচার করছিল ওই যুবক, চক্রে আর কারা আছে, সে সব জানতে ধৃতকে ম্যারাথন জেরা করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। 


এদিকে, এদিনই বেঙ্গল এসটিএফ এবং নারায়ণপুর থানার যৌথ অভিযানে আন্তর্জাতিক আগ্নেয়াস্ত্র পাচারচক্রের হদিশ পেল পুলশ। গ্রেফতার করা হয়েছে এই চক্রের এক পাণ্ডাকে।


পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল রাত্রে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজারহাট ডিরোজিও কলেজ সংলগ্ন এলাকা থেকে রবিউল লস্কর(গুটিয়াসরিফ) নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 


ধৃত ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি উন্নতমানের আগ্নেয়াস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে বিহারের মুঙ্গের থেকে সে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করার সরঞ্জাম নিয়ে এসেছিল। 


তবে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল বা এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত আছে, তা তদন্ত করবে নারায়ণপুর থানার পুলিশ। ধৃত রবিউল লস্করকে আজ ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে।


চলতি সপ্তাহের গোড়ায় পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় গৃহস্থ বাড়িতে অস্ত্র কারখানার হদিশ পায় পুলিশ। অস্ত্রের পাশাপাশি উদ্ধার হয় অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম।


উদ্ধার হয় দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৭ রাউন্ড কার্তুজ, লোহার পাইপ, স্প্রিং, স্ক্রু, ঝালাইয়ের মেশিন-সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। যদিও অভিযুক্ত রমজান আলি শেখ পুলিশ আসার আগেই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। কারা রয়েছে এর পিছনে, জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।