কলকাতা: আগামী ডিসেম্বরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বদল হবে। অর্থাৎ, বর্তমান রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পরিবর্তে অন্য কেউ এই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তার আগে কে আসবেন দিলীপ ঘোষের পর? এই প্রশ্ন ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে রাজ্য বিজেপিতে। চার মাস আগেই দৌড়ে একাধিক নাম উঠেছে বলে খবর।


দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে একাধিক নামের প্রস্তাব  রেখেছেন খোদ দিলীপ ঘোষই।  নাড্ডা নিজেই নাম চেয়েছিলেন দিলীপের কাছে। এমনই  খবর সূত্রের।


সূত্রের খবর,  রাজ্য সভাপতি পদের দৌড়ে আছেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এছাড়াও পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতোর নামও এই তালিকায় রয়েছে বলে   সূত্রের খবর। 


সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলে বাদ পড়েছেন দেবশ্রী চৌধুরী। দলের রাজ্য সভাপতি হওযার দৌড়ে রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীও রয়েছেন বলে খবর সূত্রের। 
এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন,  আরএসএস দক্ষিণবঙ্গ ক্ষেত্রের সম্পর্ক প্রমুখ বিদ্যুত্‍ মুখোপাধ্যায়, আরএসএসের প্রচারক শচীন সিংহ। সেইসঙ্গে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের নামও আলোচনায় রয়েছে বলে সূত্রের খবর। 


রাজনৈতিক মহলের খবর, বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ পদগুলির দায়িত্ব নির্ধারনের ক্ষেত্রে আরএসএসের সম্মতির একটা বড় ভূমিকা থাকে। এই হিসেবে পরবর্তী রাজ্য সভাপতিকে আরএসএসের মতামতও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। 


উল্লেখ্য, দিলীপ ঘোষের সভাপতিত্বে ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনে চমকপ্রদ সাফল্য অর্জন করেছিল বিজেপি। রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছিল গেরুয়া শিবির। বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলকে কড়়া টক্কর দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বিজেপির আশানুরুপ হয়নি। ২০০ আসনের বেশি জিতে রাজ্যে ক্ষমতা দখলের দাবি করেছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। কিন্তু বিজেপিকে থামতে হয়েছে ৭৭ আসনেই, যা লোকসভা নির্বাচনে বিধানসভা ওয়ারি ফলাফলের থেকে অনেকটাই কম। তৃণমূল ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। বিধানসভা ভোটের পর থেকে রাজ্য বিজেপিতে অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে এসেছে। এছাড়াও বিভিন্ন জেলায় দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের ঘটনা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে দলের হাল আগামীদিনে কে ধরবেন, সে দিকে চোখ থাকবে রাজনৈতিক মহলের। কারণ, নয়া রাজ্য সভাপতির নেতৃত্বেই বিজেপি আগামী ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করবে।