সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: পড়ুয়াদের স্কুলে ভর্তির সমস্ত সুলুকসন্ধান অভিভাবকদের হাতের মুঠোয় তুলে ধরছে admissiontree.in। ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড, CBSE, ICSE-র আড়াইশোর বেশি স্কুলে ভর্তির সমস্ত তথ্য মিলছে এই পোর্টালে। এবিপি-র উদ্যোগে দু’বছর আগে শুরু হয় এই পোর্টালের পথ চলা।
সন্তানের সঠিক শিক্ষা নিয়ে অভিভাবকদের চিন্তার অন্ত নেই। কোন স্কুলে ভর্তি হলে কেরিয়ার মসৃণ হবে, কোথায় ভাল পড়ানো হয়, এ সব নিয়ে সব সময়ই খোঁজ নিতে থাকেন অভিভাবকরা। এই দুশ্চিন্তা থেকেই অভিভাবকদের মুক্তি দিতে গত দু’বছর ধরে স্কুলে ভর্তির সমস্ত সুলুকসন্ধান বাবা-মায়েদের হাতের মুঠোয় তুলে ধরছে admissiontree.in । পশ্চিমবঙ্গ বোর্ড সহ CBSE এবং ICSE-র আড়াইশোর বেশি স্কুলে ভর্তির সমস্ত তথ্য এই পোর্টালে পাওয়া যাচ্ছে।
গোখেল মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের রেক্টর সংঘমিত্রা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘অ্যাডভান্সড থিঙ্কিং যখন এই অবস্থা ছিল না তখন ফিজিক্যাল কষ্টটা লাঘব করতে এই অনলাইনে ব্যবস্থা।’
এবিপি-র উদ্যোগে ২ বছর আগে পথ চলা শুরু করেছিল admissiontree.in। ইতিমধ্যেই এই পোর্টালে নথিবদ্ধ অভিভাবকের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়েছে। পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, admissiontree আজ কতটা অভিভাবকদের সহায়ক হয়ে উঠেছে। এযাবৎ সব ধরনের স্কুল মিলিয়ে প্রায় এক লক্ষ ভর্তির আবেদনপত্র জমা পড়েছে এই পোর্টালের মাধ্যমে। যা স্কুলগুলির তো বটেই, অনেকটা কষ্ট লাঘব করেছে অভিভাবকদের।
গোখেল মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের প্রিন্সিপাল ইন্দ্রাণী মিত্র জানিয়েছেন, ‘একটা নির্দিষ্ট সময় থাকত ফর্ম জমা দেওয়ার। তার মধ্যে স্টাফেরা বিরক্ত হতেন। তারপর অনেক যারা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন তারাও বিরক্ত হতেন।’
স্কুলের বেঁধে দেওয়া মাপকাঠি যদি আপনার সন্তানের সঙ্গে মিলে যায় তাহলে আপনি এই পোর্টালেই অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করে অ্যাপ্লিকেশন ফি জমা, তাও হয়ে যাবে এখানেই। অনলাইনে জমা দেওয়া সমস্ত নথি এরপর স্কুলগুলির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এখন করোনা পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ। বাড়ি থেকে অনলাইনে চলছে পড়াশোনা। অভিভাবকদের একাংশের মতে, এই অবস্থায় admissiontree.in এর প্রয়োজনীয়তা এখন অনেক বেশি।