উত্তর ২৪ পরগনা: একদিকে যখন মালদার রতুয়ায় বালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় পরিচিত কারোর হাত থাকার সন্দেহ করছে পুলিশ, তখন উত্তর ২৪ পরগনায় পরিচিতের বিরুদ্ধে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ!
মালদার রতুয়ায় মামার বাড়িতে গিয়েছিল ১০ বছরের বালিকা। আর বনগাঁয় মামার বাড়িতেই থাকত বছর ষোলোর কিশোরী। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বাজার করে ফিরছিল সে। মাঝপথে দেখা হয়ে যায় স্থানীয় বাসিন্দা বছর বাইশের অনির্বাণ বসুর সঙ্গে। অভিযোগ, বাড়িতে ছেড়ে দিয়ে আসার কথা বলে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে নেওয়া হয় কিশোরীকে। আপত্তি করেনি কিশোরী। কিন্তু, কিছদূর যেতেই বিপদের আঁচ মেলে। বাড়ির রাস্তা ছেড়ে চাকদা-বনগাঁ রোড ধরে এগোতে থাকে অ্যাম্বুল্যান্স। কিশোরীর দাবি,বেশ কিছু দূর যাওয়ার পর নির্জন জায়গায় গাড়ি থামিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে ধর্ষণ করা হয় তাকে।
সেসময় কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনার পর বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয় কিশোরীকে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত অ্যাম্বুল্যান্স চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এভাবে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায়, প্রশ্নের মুখে এলাকার নিরাপত্তা।
ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে কিশোরী। বৃহস্পতিবার রাতের কথা ভাবলে, শিউরে উঠছে সে।