ডেবরা: পরীক্ষায় ফেল করে বুধবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে বাগুইআটির এক ছাত্র। পরদিন তারই সমবয়সী এক পড়ুয়ার মর্মান্তিক পরিণতির খবর এল পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থেকে। উচ্চমাধ্যমিকের টেস্টে অকৃতকার্য হয়ে স্কুলেই আত্মহত্যা করল লোয়াদা হাইস্কুলের ছাত্রী হালিমা খাতুন।


পরিবার ও স্কুল সূত্রে খবর, এবার উচ্চমাধ্যমিক দেওয়ার কথা ছিল হালিমার। বৃহস্পতিবার টেস্টের রেজাল্ট বেরোয়। হালিমা জানতে পারে, সে পাস করতে পারেনি। তার অভিভাবককে ডেকে পাঠায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিক্ষকদের সামনেই হালিমাকে বকাঝকা করেন মা-বাবা ও পরিজনরা। একে অকৃতকার্য হওয়ার যন্ত্রণা। তার ওপর এই বকুনি। ধাক্কাটা সামলে উঠতে পারেনি হালিমা। সে নিয়ে নেয় চরম সিদ্ধান্ত।

স্কুল সূত্রে খবর, পরিবারের লোকজন  যখন শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখনই তিনতলার একটি ক্লাসরুমে গিয়ে, সেখানকার সিলিং ফ্যান থেকে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়ে হালিমা। বিষয়টি প্রথম নজরে আসে এক শিক্ষকের। তিনিই পরিজনদের দুঃসংবাদটা দেন।

পড়াশোনার কারণে কমবেশি সব সন্তানকেই মা-বাবা বা বাড়ির বড়রা বকাবকি করেন। কিন্তু সেটা তো ভবিষ্যতের কথা ভেবেই! সেই বকাবকির জন্য নিজেকে শেষ করে দেওয়ার মতো হঠকারী সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিসঙ্গত? ডেবরার এই স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর পর ফের জোরাল হল এই প্রশ্ন।