জলপাইগুড়ি:  জলপাইগুড়িতে সরকারি অফিসারের রহস্যমৃত্যু। কোয়ার্টার থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। আত্মহত্যা নাকি নেপথ্যে অন্য কিছু? তদন্তে পুলিশ

বিয়ে হয়েছিল বছর খানেক আগে। তারপর থেকেই সরকারি কোয়ার্টারে থাকতে শুরু করেন তাঁরা। সেই আবাসনের ঘর থেকেই তরুণ সরকারি অফিসারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য!

নাদির শাহ, মৃত তরুণ ছিলেন, জলপাইগুড়ির অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেজারি অফিসার। স্ত্রী রাখিকে নিয়ে আট মাস ধরে থাকছিলেন রাজবাড়ি পাড়ার এক সরকারি আবাসনের দোতলায়। স্থানীয় সূত্রে দাবি,  মঙ্গলবার গ্যাংটক থেকে বেড়িয়ে জলপাইগুড়ি ফেরেন সরকারি অফিসার ও তাঁর স্ত্রী।

বুধবার রাতে তাঁদের মধ্যে তুমুল বচসা হয়। সরকারি আবাসনের এক বাসিন্দার দাবি, তারপরই তাঁর দরজায় ধাক্কা দিচ্ছিলেন সরকারি অফিসারের স্ত্রী। দরজা খুললে মৃতের স্ত্রী বলেন,

তাঁর স্বামী গলায় দড়ি দিয়েছে। শিগগির চলুন! প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন, ঘরের সিলিং থেকে ঝুলছে বছর আঠাশের অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেজারি অফিসারের ঝুলন্ত দেহ!

জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সরকারি অফিসারকে মৃত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কেন এই পরিণতি হল সরকারি অফিসারের?  তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত সরকারি অফিসারের বাড়ি কলকাতার বড়বাজারে। মৃত্যুর খবর পেয়ে জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।