কালিম্পং: ফের উত্তপ্ত পাহাড়। কালিম্পঙে মোর্চার নিশানায় তৃণমূলের কার্যালয়। লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়া পেট্রোল বোমার আগুনে ভস্মীভূত দোকান। দমকলকে বাধা মোর্চা কর্মীদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের সঙ্গে মোর্চার খণ্ডযুদ্ধ।
বুধবার সকালে কালিম্পং পুর-এলাকায় কুকরি নিয়ে মিছিল বের করে মোর্চা। সুপার মার্কেটের পাশ দিয়ে মিছিল যাওয়ার সময় আচমকাই ৩ তলার তৃণমূল কার্যালয় লক্ষ্য করে মোর্চা সমর্থকরা পেট্রোল বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে সুপার মার্কেটের নীচে একটি দোকানে গিয়ে পড়ে পেট্রোল বোমাটি। আগুন লেগে যায় দোকানটিতে।
দমকল ঘটনাস্থলে গেলে আগুন নেভাতে বাধা দেন মোর্চা সমর্থকরা। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। বাধা দেন মোর্চা সমর্থকরা। শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে মোর্চাবাহিনী। পেট্রোল বোমাও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হন।
ধুন্ধুমারের মধ্যেই এনবিএসটিসি’র একটি টিকিট কাউন্টারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। কালিম্পঙের দম্বরচক থেকে দশ মাইল পর্যন্ত এলাকা তখন যেন রণভূমি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। মারমুখী মোর্চা সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটানো হয়।
দু’ঘণ্টার তুলকালামের পর পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসে। গোটা এলাকায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। অন্যদিকে, এদিনই দার্জিলিংয়ের চকবাজারে সভা করে মোর্চা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে জিএনএলএফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা মুখপাত্র বিনীতা রোকা বলেন, জিএনএলএফ-কে স্ট্যান্ড পয়েন্ট খোলসা করতে হবে।
পাহাড়ে এদিন মিছিল করে জিএনএলএফ-ও। সবমিলিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপে সরগরম পাহাড়ের পরিস্থিতি।