কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার প্রশ্নে হাইকোর্টে মামলা সরকারি কর্মচারীদের। বুথে-বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি। চৌঠা মে-র মধ্যে কমিশনকে নিরাপত্তারক্ষীর তালিকা তৈরির নির্দেশ। পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী আছে, দাবি এডিজি আইনশৃঙ্খলা অনুজ শর্মার।
পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনা করবেন ২ লক্ষ ৯২ হাজার সরকারি কর্মচারী।
কিন্তু তাঁদের নিরাপত্তা দেবে কারা? এই প্রশ্নে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছে সরকারি কর্মচারী পরিষদ। শুক্রবার ছিল সেই মামলার শুনানি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জ্যোর্তিময় ভট্টাচার্য এবং অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে পরিষদের তরফে জানানো হয় ৫৮ হাজার বুথে ভোট হবে। রাজ্যের কাছে প্রায় সমসংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী আছে।
এই অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সরকারি কর্মচারীরা।
সরকারি কর্মচারী পরিষদের দাবি, প্রতি বুথে ৩জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হোক। এছাড়াও ভোটে কর্তরত অবস্থায় কোনও কর্মীর মৃত্যু হলে, তাঁর পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়, আহত কর্মীদের দেওয়া হয় ৫ লক্ষ টাকা।কিন্তু এখনও নির্বাচন কমিশন তা নিয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি।
এর পরই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কমিশনের কাছে জানতে চান, কমিশনকে বাহিনী সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করতে বলেছিল হাইকোর্ট। কমিশন কি তা করেছে?
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব নীলাঞ্জন শান্ডিল্য জানান,রাজ্য সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করে রিপোর্ট পেশ করা হবে।
তখনই বিচারপতি নির্দেশ দেন,চৌঠা মে-র মধ্যে বাহিনী নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে।
যদিও আদালতে এডিজি আইনশৃঙ্খলার দাবি, রাজ্যের হাতে পর্যাপ্ত বাহিনী আছে। ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে সমস্যা হবে না।
ভোটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অধীর চৌধুরীর করা মামলারও শুনানি হবে চৌঠা মে।