শিক্ষামন্ত্রী যে সংস্থার নিয়মের কথা বলছেন, সেই অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন বা এআইসিটিই-র বিধি মতে,
ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হতে উচ্চমাধ্যমিকে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও অঙ্কে গড়ে ৪৫ শতাংশ নম্বর পেতে হয়।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রের খবর, এবার ৪৫ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী।
তাহলে উচ্চমাধ্যমিকে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও অঙ্কে ৪৫ শতাংশ নম্বর পেলেই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া পাকা? তাহলে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রয়োজন কোথায়?
সূত্রের খবর, জয়েন্ট এন্ট্রান্সে শূন্যের কম অর্থাত্ নেগেটিভ নম্বর পেয়েও এবার মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন একাধিক পরীক্ষার্থী। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকেই এবার ডাকা হচ্ছে কাউন্সেলিং-এ।
তার ওপর সরকারি সূত্রের খবর, তিন দফা কাউন্সেলিং-এর পর এবারও রয়েছে বিকেন্দ্রীকরণের ভাবনা। মানে, কলেজগুলির হাতে ছাত্রভর্তির স্বাধীনতা। সেক্ষেত্রে ফাঁকা থেকে যাওয়া আসন ভরাতে এআইসিটিই-এর নিয়ম অনুযায়ী স্রেফ উচ্চমাধ্যমিকের ৪৫ শতাংশ নম্বরের ভিত্তিতেই ভর্তি হওয়া যাবে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ। শর্ত, শুধু জয়েন্টে বসা।
প্রশ্ন উঠছে, এভাবে জয়েন্টের কৌলিন্য রক্ষা কি সম্ভব?
যেখানে দেশজুড়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার প্রতি ছাত্রদের অনীহা, যেখানে গত বছর এ রাজ্যেই ফাঁকা ছিল ৩৬ শতাংশ আসন, সেখানে দেদার ভর্তির সুযোগ কোন মন্ত্রে মান রক্ষা করবে জয়েন্ট বা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার?
উঠছে এ প্রশ্নও।