উত্তর ২৪ পরগনা: হালিশহরে বিজেপির বুথ সভাপতিকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ৩। সোমনাথ গঙ্গোপাধ্যায় ওরফে কেলে সোমনাথ, সুদীপ্ত ঘোষ ওরফে রাইডার বাবাই এবং সুমন সাহা ওরফে লাচার, এই ৩ জনেরই নাম ছিল এফআইআরে।
ধৃতদের কঠোর শাস্তির দাবিতে বীজপুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ বিজেপির। বিজেপির বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার। ব্যারিকেড ভেঙে থানায় ঢোকার চেষ্টা বিজেপি কর্মীদের। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। বিজেপির গৃহ সম্পর্ক অভিযানে খুন হন বিজেপি কর্মী।
খুনের নেপথ্যে বিজেপির অন্তর্কলহ দায়ী বলে দাবি করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, আদি বিজেপির সঙ্গে নব্য বিজেপির লড়াইয়ের জের। যদিও, তিনজনই তৃণমূল কর্মী বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
গতকাল উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে বিজেপি বুথ সভাপতিকে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রথমে মারধর পরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিজেপির। যদিও তৃণমূলের দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই ওই ঘটনা। বিজেপি সূত্রে দাবি, বিজেপির বুথ সভাপতি সৈকত ভাওয়াল শনিবার সন্ধেয় আরও কয়েকজনের সঙ্গে হালিশহরের বারেন্দ্র গলিতে গৃহসম্পর্ক অভিযানে বেরিয়েছিলেন।
অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আচমকাই হামলা চালায়। প্রথমে মারধর করা হয় বিজেপির বুথ সভাপতিকে। তারপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে বুথ সভাপতিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। প্রতিক্রিয়ায় সোশাল মিডিয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ লেখেন, হালিশহরে সৈকত ভাওয়ালের নৃশংস মৃত্যু সঙ্কেত দিচ্ছে, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন কতটা রক্তাক্ত হতে চলেছে। বিজেপির দাবি, হামলায় আহত আরও কয়েকজন।
ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বিজেপি। বীজপুরের তৃণমূল নেতা সুবোধ অধিকারীর নাম করে অভিযোগ করেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার পাল্টা দাবি, বিজেপির নিজেদের মধ্যে ঝামেলার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।
আহত ২ দলীয় কর্মীকে হাসপাতালে দেখতে যান বিজেপি নেতা ও বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়। বলেন, এভাবে চললে বদলার রাজনীতি হতে পারে। ঘটনার পর থমথমে গোটা এলাকা। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।