কলকাতা ও বাসন্তী: হাইকোর্টের রায়ে বুকে বল পেলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, কয়েকমাস ধরে এই সব নিরীহ মানুষগুলোকে হুমকি দিয়ে আসছিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু, নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের দাবিতে অনড় ছিলেন বাসন্তীর চুনাখালি, ঝড়খালির বাসিন্দারা। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। শুক্রবার, সেই মামলায় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, ওই এলাকার ভোটাররা যাতে শান্তিতে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ-প্রশাসনকে।ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সেগুলি নিতে হবে। গ্রামবাসীদের কমিশনের সেক্টর অফিসারের ফোন নম্বর দিতে হবে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে সেক্টর অফিসারকে।
হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর ভোট দেওয়ার জেদ চেপে গিয়েছে গ্রামবাসীদের। হয় এস্পার নয় ওস্পার, ভোট দেবেনই এরা।
টুম্পা ঘরামি, রুমা ঘরামির মতো গ্রামবাসীরা বলছেন, শত বাধা উপেক্ষা করেও তাঁরা ভোট দেবেন। আর গ্রামবাসীদের মতোই একই শপথ নিয়েছেন মামলাকারী এসার আলি ঘরামি।
কিন্তু, নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জন্য কেন আদালতে যেতে হল গ্রামবাসীদের? সংবিধান কার্যকর হওয়ার ৬৬ বছর পরও কেন ভোটাধিকার সুনিশ্চিত করার জন্য আদালতে যেতে হবে কেন? কেন এতদিন হাতগুটিয়ে বসে ছিল পুলিশ প্রশাসন? এই প্রশ্নগুলি রয়েই গেল।