সোমনাথ মিত্র, হুগলি: খেলতে খেলতে হাই ড্রেনে পড়ে মৃত্যু হল ২ বছরের এক শিশু কন্যার। মৃত শিশুর নাম বর্ষা কুমারী। ঘটনাটি ঘটেছে তারকেশ্বরের রেল কলোনী এলাকায়। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহারের বাসিন্দা বর্ষা ও তার পরিবার। কিছুদিন আগেই তারকেশ্বরে মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল শিশুর পরিবার।
তারকেশ্বরের ১৪ নং ওয়ার্ডের রেল কলোনী এলাকায় পরিবারটি থাকতেন। রেল কলোনী এলাকার পাশ দিয়েই একটি হাই ড্রেন গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বাচ্চাটি খেলতে খেলতে হঠাৎ-ই ড্রেনে পড়ে যায়। এরপরই স্রোতের টানে বাচ্চাটি ভেসে যায়। প্রায় কয়েকশো মিটার দূরে ভাসতে দেখা যায় শিশুটিকে। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে তারকেশ্বর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তারকেশ্বর থানার পুলিশ মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
উল্লেখ্য গতমাসের শেষ দিকে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে হুগলিতে। দু-দিন নিখোঁজ থাকার পর ২৭ জুলাই রাতে ব্যান্ডেল চুনুমিঞার ঘাটের পাশের ঝোপ থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি শিশুর মৃতদেহ। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন করা হয় শিশুকে। জানা গিয়েছিল প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে শিশুর মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সম্প্রতি দু’জনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায়, প্রেমিকার সন্তানকে খেলতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে ওই যুবক। শিশুর মায়ের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে ওই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে মগরা থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ব্যান্ডেলে গঙ্গার ঘাটের ধারে ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় শিশুর দেহ। শিশু খুনে অভিযুক্ত সেখ রাজুকে গ্রেফতারের পাশাপাশি শিশুর মাকে আটক করে জেরা করে পুলিশ।
সেখ রাজুকে গ্রেফতারের পর পুলিশি জেরায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাঁশবেড়িয়ার চুরি মহল্লায় প্রতিবেশি যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পরে শবনম বিবি। শবনমের সাত বছরের ছেলে সেখ রমজান তাদের সম্পর্ক টের পায়। বদনাম হবে এলাকায় এই ভেবে ভয় পেয়ে যায় বিবাহিত রাজু। রমজানকে সাইকেলে চাপিয়ে নিয়ে গিয়ে গলা টিপে খুন করে ঝোপে ফেলে দেয়। একথা পুলিশের কাছে নিজেই কবুল করেছে রাজু। শবনমের মা ও প্রতিবেশীরা জানায় রাজুর যাতায়াত ছিল শবনমের ঘরে। তবে
শিশুকে খুনের পরিকল্পনা একা রাজুরই ছিল নাকি মা শবনমের কোনও ভূমিকা ছিল তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।