নদিয়া:  পণের দাবিতে গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। মৃতের নাম রুম্পা ভট্ট। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ধানতলা থানা এলাকার পাঁচবেড়িয়ায়।

এতদিন টেলিভিশনে কিম্বা সংবাদপত্রেই নারী নির্যাতনের একের পর এক খবর দেখা গিয়েছে। কিন্তু, সে অন্ধকার যে ক্রমশ নিজেদের ঘরকেই গ্রাস করছে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কেউ। আবারও টাকার জন্য বধূহত্যার অভিযোগ! গ্রেফতার মৃতের স্বামী ও ভগ্নিপতি।

৪ বছর আগে প্রেম করে নদিয়ার পালবাড়ার বাসিন্দা রাকেশ ভট্টকে বিয়ে করেন রুম্পা। তাঁদের এক মেয়েও রয়েছে। রুম্পার বাপের বাড়ির অভিযোগ, রুম্পাকে প্রায়ই বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ দিতেন রাকেশ। মেয়ের সংসার টিকিয়ে রাখতে রাকেশকে কখনও ২ লক্ষ টাকা, কখনও বাইক কিনে দিতে হয় বলেও দাবি মৃতের পরিবারের।

মৃতের পরিবারের দাবি,  শনিবার সন্ধেয়, ফোন করে রাকেশের বন্ধুরা জানান, রুম্পা গুরুতর অসুস্থ। তাঁকে আড়ংঘাটা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখেন, মেয়ের মৃতেদহ পড়ে আছে। সেখানে শ্বশুরবাড়ির কেউ নেই। যদিও, মৃতের শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের দাবি, আত্মঘাতী হয়েছেন রুম্পা।

রুম্পার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগে, রুম্পার স্বামী ও ভগ্নিপতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।