কলকাতা: দুই জ্বলন্ত ইস্যুকে  হাতিয়ার করে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাম্প্রদায়িক হিংসা প্রসঙ্গে এবার মুখ্যমন্ত্রীর মুখে জামাতের নাম। রাজ্যে অশান্তি পাকাতে লোক ঢোকানো হচ্ছে। কেন খোলা হচ্ছে সীমান্ত? সব নথি আছে। হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একইসঙ্গে পাহাড় ইস্যুতেও বিজেপি সরকারকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি-ও।

সাম্প্রদায়িক হিংসা প্রসঙ্গে বলার সময় মুখ্যমন্ত্রীর কথায় তাৎপর্যপূর্ণভাবে উঠে আসে বাংলাদেশের জঙ্গি গোষ্ঠী জামাতের প্রসঙ্গ! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ফেক পোস্ট করে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা হয়েছিল। তাঁর প্রশ্ন, সাতক্ষীরা থেকে জামাতের লোক কী করে ঢুকল? সীমান্ত কারা খুলে দিয়েছিল, কেন খুলে দিয়েছিল? এ ব্যাপারে বিস্তারিত কাগজপত্র তাঁদের কাছে রয়েছে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা।

মমতার অভিযোগ, বিজেপি রাজ্যে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু সেই চেষ্টায় তারা সফল হবে না।



খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সময় এই জামাতের নামই উঠে এসেছিল। যা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছিল বিজেপি! যে ঘটনার তদন্ত করছে এনআইএ। এবার সেই জামাতের নাম মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। যা নিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, গোটা ভারতে ৭ হাজার কিমি মতো বর্ডার এরিয়া। অন্য কোনও রাজ্যে অনুপ্রবেশ নিয়ে বড় সমস্যা নেই। কিন্তু এ রাজ্যে বেশি সমস্যা। বিএসএফের সঙ্গে পুলিশেরও দেখার কাজ, কিন্তু পুলিশ তোলা তুলতে ব্যস্ত।

জ্বলছে দার্জিলিং। সিকিম সীমান্তে চিনের সঙ্গে সংঘাতে নয়াদিল্লি! এই প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রীর গলায় মোদির বিদেশনীতির সমালোচনা। মমতার অভিযোগ, মোদীর আমলে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে।

তিনি আরও বলেছেন, গত একমাস ধরে রাজ্যে দার্জিলিংয়ের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েও পায়নি। সীমান্তে দার্জিলিংয়ের পাশে পশুপতি গেটের কাছে প্রায় ৪০০ স্কুল তৈরি হয়েছে চিনা ভাষা শেখানোর জন্য। তাঁর প্রশ্ন এসএসবি কী করছিল? আইবি কী করছিল? র কী করছিল?

মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে ভাল সম্পর্ক প্রতিবেশীদের সঙ্গে। চিন বরাবরের শত্রু। তবে সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে। দার্জিলিংয়ে আগুন উনিই লাগিয়েছেন।

পাহাড়ের আগুনের আঁচ পড়েছে বিধানসভায় রাষ্ট্রপতির নির্বাচনের ভোটগ্রহণের সময়ও। বিজেপির রাজ্য সভাপতির সঙ্গে মোর্চা বিধায়কদের দেখে এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল। বচসায় জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ।

এরপরই সেই বিধানসভা থেকেই ফের পাহাড় নিয়ে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।