সুনীত হালদার, উলুবেড়িয়া: দলে ভাঙনের জেরে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় গ্রামপঞ্চায়েত হাতছাড়া হল বিজেপির। উলুবেড়িয়া দুনম্বর ব্লকের বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল। দলবদলের সুযোগে পঞ্চায়েত দখল নিয়ে দু’দলের মধ্যে শুরু হয়েছে তরজা।


এবার বিধানসভা ভোটে হাওড়া জেলায় তৃণমূলের স্কোর ১৬-০।ভাগিরথীর পাড়ে কলকাতার যমজ জেলায় সবুজ সুনামি আছড়ে পড়েছে সবে দুমাস হল। তার মধ্যেই দলবদলের মাধ্যমে বিজেপি পরিচালিত গ্রামপঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল। উলুবেড়িয়া ২ নম্বর ব্লকের বাসুদেবপুর গ্রামপঞ্চায়েত হাতছাড়া হল গেরুয়া শিবিরের। সোমবার বিডিও অফিসে কড়া নিরাপত্তায় ভোটাভুটির পর বোর্ড গঠনের শেষ হাসি হাসল তৃণমূল কংগ্রেস।


বাসুদেবপুর গ্রামপঞ্চায়েতে মোট ১৬টি আসন।২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির ঝুলিতে যায় ১০টি, তৃণমূলের ৪টি এবং সিপিএম ও নির্দল একটি করে আসন জেতে। সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে বোর্ড গঠন করে বিজেপি।গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ৩ বছরের মাথায় বদলে গেল সমীকরণ। নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। গত ২৯ জুন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন খোদ প্রধান এবং উপপ্রধান। বিজেপির এক পঞ্চায়েত সদস্যও তৃণমূলে যোগদান করেন। সিপিএমের একমাত্র পঞ্চায়েত সদস্যও কাস্তে রেখে ঘাসফুলকে আঁকড়ে ধরেন। আর এভাবেই ১৬ আসনের বাসুদেবপুর গ্রামপঞ্চায়েতে ৪ থেকে বেড়ে ৯ হয়ে যায় তৃণমূল। 


দলবদলের সুযোগে পঞ্চায়েত দখল নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কাজিয়া। উলুবেড়িয়া উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজি বলেছেন, আর এক বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য বিকাশ মান্না ভোটদান না করলেও তৃণমূলে যোগদানের আবেদন করেছেন। তৃণমূলের পক্ষে মোট ১০ জনের সমর্থন রয়েছে ।


হাওড়া (গ্রামীণ)-এর বিজেপি সভাপতি প্রত্যুষ মণ্ডলের অভিযোগ, আমাদের বোর্ড গঠন করার পর থেকেই রাজনৈতিক চাপ আর প্রলোভন দেখিয়ে যাচ্ছিল তৃণমূল। দলত্যাগ বিরোধী আইনে কোর্টে যেতে পারি।


সব মিলিয়ে বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পর থেকে গেরুয়া শিবিরে ভাঙন অব্যাহত। এবার তাদের হাতছাড়া হল পঞ্চায়েত।