সুনীত হালদার, দাসনগর(হাওড়া): বৃষ্টি থামলেও দুর্ভোগের শেষ নেই হাওড়ার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের। এখনও একাধিক জায়গায় জমে রয়েছে জল।
দ্রুত সমস্যা মেটানোর দাবিতে আজ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান দাশনগরের বাসিন্দারা। এদিকে, পরিস্থিতির খোঁজ নিতে এদিনই কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখেন পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অরূপ রায়।
বৃহস্পতিবারের পর আর বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু সপ্তাহ পার হতে চললেও, এখনও হাওড়া পুর এলাকার একাধিক ওয়ার্ড জলমগ্ন। জমা জলের মধ্যেই কাটছে দিন।
এতেই তিতিবিরক্ত হয়ে মঙ্গলবার সকালে বিক্ষোভে নামলেন দাশনগরের কাশীপুর এলাকার বাসিন্দারা। হাওড়া-আমতা রোডের ওপর বসে পড়ে শুরু করেন অবরোধ।
ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের দাবি, প্রতি বছর বর্ষা এলে এভাবেই দিন চলে তাঁদের। প্রশাসনের তরফে শুধুই প্রতিশ্রুতি মেলে। প্রায় এক ঘণ্টা পথ অবরোধের পর, বিক্ষোভের রেশ গিয়ে পড়ে থানায়। ঘেরাও করা হয় দাশনগর থানা।
তবে দুর্ভোগ শুধু দাশনগরেই নয়। হাওড়া পুর এলাকার বেলগাছিয়া, সালকিয়া, টিকিয়াপাড়া, লিলুয়া-সহ বিভিন্ন এলাকাও জল থইথই। হাঁটু সমান জল ঠেলেই চলছে যাতায়াত।
এদিকে, এদিনই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জলমগ্ন একাধিক ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী ও পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অরূপ রায়। খতিয়ে দেখেন নিকাশি ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, শহরের জল যাতে দ্রুত নামে সেজন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হবে, এবার অতিবৃষ্টি এবং ডিভিসির অতিরিক্ত জল ছাড়ার ফলে গঙ্গার জল বেড়ে যায়, সেই কারণে শহরের জমা জল বের হতে সময় লাগছে। ভুক্তভোগী শহরবাসী বছর বছর প্রতিশ্রুতি শুনে শুনে ক্লান্ত। তাঁরা চান এবার অন্তত কাজের কাজ কিছু হোক।
পাশের জেলা হুগলির বেশ কিছু জায়গা থেকে জল নামতে শুরু করলেও দেখা দিয়েছে অন্য বিপদ। কয়েকদিন ধরে জলের তলায় থাকার ফলে নষ্ট হয়ে গেছে বিঘের পর বিঘে জমির ফসল।
হুগলি জেলা কৃষি দফতরের প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী, জল জমে থাকার কারণে ২৮ হাজার হেক্টর কৃষিজমির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ৪৪২ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে হুগলিতে। মূলত, ধান, ধান বীজতলা, কচু, পটল, ঝিঙে, ওল, বাদাম, বেগুন সহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে।