কলকাতা: এবার কয়লা পাচারকাণ্ডে এখনও বেপাত্তা মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করল সিবিআই। সল্টলেক ও পুরুলিয়ার বাড়িতে দেওয়া হল আদালতের নির্দেশের কপি। অন্যদিকে গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে বিনয় মিশ্রর ভাইয়ের নামেও লুকআউট নোটিস জারি করল সিবিআই। ইতিমধ্যেই লালার ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। এবার লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।


সিবিআই সূত্রে খবর, সম্প্রতি আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তাদের তরফে জানানো হয়েছে, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না লালাকে। তাই নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে ফেরার ঘোষণা করার আবেদন জানানো হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, তাতে সম্মত্তি জানিয়ে লালাকে আত্মসমর্পণ করার জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় ধার্য করেছে আদালত। কিন্তু এখনও তাঁর কোনও হদিশ না মেলায় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিবিআই। আদালতের সেই কপি এদিন কয়লা পাচারকাণ্ডের কিংপিনের বিভিন্ন বাড়ির দেওয়ালে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সল্টলেকে লালার দুটি বাড়ির দেওয়ালে সেই কপি সাঁটিয়ে দেয় সিবিআই।
লালার বাড়ির কেয়ারটেকার জানান, সিবিআই এসেছিল, নোটিসের কাগজ ছিড়তে বারণ করেছে। সল্টলেকের পাশাপাশি পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ায় লালার বাড়ি এবং তাঁর এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় আদালতের নির্দেশের কপি লাগিয়ে দিয়েছে সিবিআই। লালার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কয়লাকাণ্ডে আরেক অভিযুক্ত রত্নেশ বর্মারও খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। তাঁরও হদিশ না মেলায় এদিন পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের বাড়িতে আদালতের নির্দেশের কপি দিয়ে আসেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কয়লা পাচারকাণ্ডের পাশাপাশি গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তেও সক্রিয় হয়েছে সিবিআই। কিন্তু এখনও খোঁজ মেলেনি অন্যতম অভিযুক্ত যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বিনয় মিশ্রের। এবার তাঁর ভাই বিকাশ মিশ্রকে ধরতে লুকআউট নোটিস জারি করল সিবিআই। ১৬ জানুয়ারি তাঁকে হাজিরা দিতে বলে আগেই নোটিস পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু সিবিআই সূত্রে দাবি, তাদের আশঙ্কা দাদার মতো বিকাশও রাজ্যের বাইরে পালিয়ে যেতে পারেন। তাঁর নাগাল পেতে বিভিন্ন বিমানবন্দরকেও সতর্ক করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।