পুরী ও হাওড়া: হাওড়ার তৃণমূল কাউন্সিলরের রহস্যমৃত্যু। পুরী হোটেল থেকে উদ্ধার রক্তাক্ত দেহ।
হাওড়া পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং এক নম্বর বরোর চেয়ারম্যান রজত সরকার। পরিবার সূত্রে দাবি, উল্টো রথ উপলক্ষ্যে রবিবার পুরীতে বেড়াতে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন মেয়র পারিষদ গৌতম চৌধুরী, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাইচরণ মান্না এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পম্পা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর পরিবার।
পুলিশ সূত্রে দাবি, সোমবার চক্রতীর্থ রোডের হোটেল কলিঙ্গর দোতলার ৩০৪ নম্বর ঘরে একাই ওঠেন বছর ৪২-এর রজত। সঙ্গে যাওয়া আর একটি পরিবার ওঠে ওই হোটেলেরই ১০৯ নম্বর ঘরে। বাকিরা ছিলেন অন্য হোটেলে। পুলিশ সূত্রে খবর, ১০৯ নম্বর ঘরে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা বুধবার সকালে গিয়ে দেখেন, রজত নিজের ঘরে নেই!
বিষয়টি হোটেলের কর্মীদের জানানো হয়। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। কিছুক্ষণ পর দেখা যায়, হোটেলের নীচের লনে বাঁশের ওপর তৃণমূল কাউন্সিলর রজতের দেহ পড়ে রয়েছে!
কিন্তু কেন এভাবে মৃত্যু হল তৃণমূল কাউন্সিলরের? পুলিশ জানতে পেরেছে, মঙ্গলবার রাতে মন্দিরে পুজো দিতে যান রজত। মন্দির থেকে ফিরে ঘরে একাই ছিলেন। পুলিশের দাবি, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কিছুক্ষণ ঘরে থাকার পর টলতে টলতে রজত ওপরের তলায় ওঠেন। অনুমান, সেখান থেকে পড়ে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে রজত সরকারের।
যেখান থেকে রজত পড়ে গিয়েছেন বলে অনুমান, সেখানে নির্মাণ কাজ হচ্ছে। ওই ঘরের জানালাগুলি এখনও ফাঁকা। সেখান থেকে মদের বোতল, গ্লাস ও কাজুবাদাম উদ্ধার হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।
এদিন মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান লক্ষ্মীরতন শুক্ল। বাড়ি ফেরার জন্য বুধবারই পুরী থেকে ট্রেন ধরার কথা ছিল রজত সরকার ও তাঁর সঙ্গীদের। কিন্তু তার আগে এরকম ঘটনায় বাকরুদ্ধ পরিবার। শোকের ছায়া এলাকায়।