মোহন দাস, আরামবাগ: বিক্ষোভ দেখানোর একদিনের মধ্যেই বাড়ল নম্বর উচ্চ মাধ্যমিক অনুত্তীর্ণদের। আরামবাগ গার্লস স্কুলে নম্বর বাড়ল ১৩৭ জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। আজই সংশোধিত মার্কশিট হাতে পান পরীক্ষার্থীরা। পাস না করতে পারায় শুক্রবারই স্কুল চত্বরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অনেক ছাত্রী। তারপরেই বাড়ল নম্বর।


উচ্চমাধ্যমিকে পাস করতে না পারায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় পুড়ুয়ারা। কোথাও রাস্তা অবরোধ-ভাঙচুর, কোথাও রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ। তো কোথাও আবার স্কুলের গেটে ঝোলানো হল তালা। স্কুলের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, অবরোধ, স্থানীয়দের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বচসা। কোথাও পুলিশের লাঠিচার্জ। উচ্চমাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের পর থেকে এভাবেই রাজ্যের দিকে দিকে শুরু হয় ছাত্র-বিক্ষোভ। দাবি, পাস করাতে হবে প্রত্যেক অকৃতকার্যকে। ফেল করেও পাস করানোর দাবিতে শনিবার সকালে পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আরামবাগ গার্লস স্কুল।


বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। আর এই ফল প্রকাশের পর দেখা যায় আরামবাগ গার্লস স্কুলের ১৩৭ জন পড়ুয়া অকৃতকার্য হয়েছেন। এরপরই  অভিভাবক সহ ছাত্রীরা শুক্রবার স্কুল চত্বরেই বিক্ষোভ দেখান। গোটা বিষয়টি স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি উচ্চ  মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে জানান। আজ সংশোধিত মার্কশিট পাওয়ার পর দেখা যায়, কারোর ১৮, কারোর ২০ নম্বর বেড়েছে। সংসদের ভুলেই নম্বর বিভ্রাট, দাবি প্রধান শিক্ষিকার। এই বিষয়ে আরামবাগ গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রাজশ্রী  দে বলেন, আমাদের নম্বর পাঠানোতে কোনও ভুল ছিল না। ওখানে নম্বর বসানোতে সমস্যা ছিল। যাঁদের সমস্যা ছিল তাঁদের নম্বর বেড়েছে। 


উচ্চ মাধ্যমিকে অনুত্তীর্ণদের অভিযোগ জমা নেওয়ার কাজ শুরু হল আজ থেকে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে অভিযোগপত্র নেওয়ার কাজ চলবে ৭ দিন। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস জানিয়েছেন, স্কুল মারফত অভিযোগ জানাতে হবে পরীক্ষার্থীদের। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, ৪০টির বেশি স্কুলের তরফে অভিযোগ এসেছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। রবিবার ছুটির দিনেও সংসদে হাজির হয়েছিলেন সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস। তিনি বলেন, "সবাই আসছে, জমা নিচ্ছি, স্কুলের মাধ্যমে আসতে হবে।"