অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: উচ্চ মাধ্যমিকে অনুত্তীর্ণদের অভিযোগ জমা নেওয়ার কাজ শুরু হল আজ থেকে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে অভিযোগপত্র নেওয়ার কাজ চলবে ৭ দিন। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস জানিয়েছেন, স্কুল মারফত অভিযোগ জানাতে হবে পরীক্ষার্থীদের। স্কুল মারফত না আসায় কয়েকজন অভিযোগকারী ফিরে যান। অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপের আশ্বাস মহুয়া দাসের।
কলকাতা থেকে বিভিন্ন জেলায়, ফলপ্রকাশের পর উচ্চমাধ্যমিকে অনুত্তীর্ণদের অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছিল রাজ্যজুড়ে। রবিবার রাস্তাঘাটে বিক্ষোভ বন্ধ হলেও, অসন্তোষ এতটুকু কমেনি। শনিবারই মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। তারপর সংসদের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, সাত দিনের মধ্যে ফলাফল সংক্রান্ত অভিযোগ এবং আবেদন নথি সহকারে সংসদ অফিসে জানাতে হবে প্রধান শিক্ষকদের।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, ৪০টির বেশি স্কুলের তরফে অভিযোগ এসেছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। সেইমতো রবিবার ছুটির দিনেও সংসদে হাজির হয়েছিলেন সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস। তিনি বলেন,সবাই আসছে, জমা নিচ্ছি, স্কুলের মাধ্যমে আসতে হবে।
এবছর উচ্চমাধ্যমিকে ৮ লক্ষ ১৯ হাজার ২০২ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পাস করেছেন ৭ লক্ষ ৯৯ হাজার ৮৮ জন।পাসের হার ৯৭.৬৯ শতাংশ। করোনার জেরে এবার উচ্চমাধ্যমিক বাতিল হওয়ায়। মাধ্যমিক, একাদশের বার্ষিক এবং দ্বাদশের প্র্যাকটিক্যাল বা প্রোজেক্টের প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে বিশেষ ফর্মুলায় তৈরি হয়েছে উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিট। অনেক স্কুল কর্তৃপক্ষেরই অভিযোগ, ফর্মুলা মেনে নম্বর দেওয়া হয়নি। মাত্র ২০ হাজার পরীক্ষার্থী ফেল করায়, কেন এত বিক্ষোভ-অসন্তোষ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, প্রধান শিক্ষক মারফত আসা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
এদিকে বিক্ষোভ দেখানোর একদিনের মধ্যেই বাড়ল নম্বর। আরামবাগ গার্লস স্কুলে নম্বর বাড়ল ১৩৭ জন উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রীর। রবিবারই সংশোধিত রেজাল্ট হাতে পান পরীক্ষার্থীরা।