কলকাতা: উচ্চমাধ্যমিকে প্রশ্ন ফাঁস রুখতে এবার কম্পিউটারে নজরদারি। নকল রুখতে স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্রে সিসিটিভি, পরীক্ষা চলাকালীন ভিডিওগ্রাফি। প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ক্লাসে যাওয়ার সময়ও প্রশ্নপত্র থাকবে খামবন্দি।
বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে এবছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। মাধ্যমিক চলাকালীন এবার ভৌতবিজ্ঞান প্রশ্নপত্রের কয়েকটি পাতা বাইরে বেরিয়ে আসে। একাধিক দিন দেখা গেছে দেদার নকল সরবরাহের ছবি। তা থেকেই কি শিক্ষা এবার উচ্চমাধ্যমিকে? জল্পনা উস্কে দিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের একাধিক পদক্ষেপ।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এবার থাকবে ভ্যেনু সুপারভাইজার বা সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নিয়ন্ত্রণে। প্রধান শিক্ষকের ঘর থেকে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলে ফের খামবন্দি অবস্থায় তা যাবে ক্লাসরুমে পরীক্ষার্থীদের হাতে। শুধু তাই নয়, প্রশ্নপত্রের প্যাকেটের নিরাপত্তায় থাকছে কলকাতা থেকে কম্পিউটারের মাধ্যমে নজরদারি। সংসদের দাবি, পরীক্ষার আগে যাতে প্রশ্নপত্র বাইরে না আসে তার জন্যই এই ব্যবস্থা। যদি বেরোয়, ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে সনাক্ত করা যাবে কোথা থেকে বেরিয়েছ।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস বলেন, প্রশ্নপত্রের মুভমেন্ট আমরা বুঝতে পারছি। প্যাকেটে কম্পিউটারের নম্বর থাকবে। যাতে বাইরে না আসে তার জন্য এসব করছি। প্রশ্ন নিয়ে খেলা করলে ধরে ফেলব।
শুধু তাই নয়, রাজ্যের প্রায় ৭৫টি পরীক্ষাকেন্দ্রকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে সব চেয়ে বেশি পরীক্ষাকেন্দ্র মালদায়। এই সব পরীক্ষাকেন্দ্রে বসছে সিসিটিভি। পরীক্ষা চলাকালীন করা হবে ভিডিওগ্রাফি। পরীক্ষার্থী মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে তা একেবারে বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি বাতিল হতে পারে পরীক্ষা। পরীক্ষাকেন্দ্রে বহিরাগতদের প্রবেশ আটকাতে থাকবেন সংসদের প্রতিনিধি।
এবার উচ্চমাধ্যমিকে সংখ্যাতত্ত্বে ছাত্রদের টেক্কা দিয়েছে ছাত্রীরা। মোট পরীক্ষার্থী প্রায় ৮ লক্ষ। রাজ্যজুড়ে ১৭টি জেলায় বেড়েছে ছাত্রীর সংখ্যা। এবার ছাত্রদের থেকে ছাত্রীদের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৫০০ বেশি। পরীক্ষা হবে মোট ৫১ টি বিষয়ে। পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ৬৬১। হিন্দি, উর্দু, নেপালি ভাষাভাষি পরীক্ষার্থীদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে অনুবাদকের।
উচ্চমাধ্যমিকের সঙ্গে বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা। সেখানেও পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৮ লক্ষ। উচ্চমাধ্যমিক শেষ হবে ২৯ মার্চ।