পূর্ব বর্ধমান: ফের মনুয়াকাণ্ডের ছায়া।গ্রেফতার মৃতের স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক।

এবার ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি।

বুধবার দুপুরে মাধবডিহি থানা এলাকার নন্দনপুরে বর্ধমান-আরামবাগ রোডের পাশে নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার হয় একটি বস্তাবন্দী মৃতদেহ।

পুলিশ সূত্রে খবর, রাতে থানায় আসেন দেবু রায় নামে এক ব্যক্তি। জানান, তাঁর জামাইবাবু নিখোঁজ। বস্তাবন্দি মৃতদেহ দেখে সনাক্ত করেন ওই ব্যক্তি। জানা যায়, মৃতের নাম খোকন মাজি। গোঘাট থানার পানপোতা এলাকার বাসিন্দা। এরপরই

মৃতের স্ত্রী তাপসীকে থানায় ডেকে আনে পুলিশ। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশের দাবি, স্ত্রী স্বীকার করেন বাপ্পাদিত্য পান নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক রয়েছে।

মৃতের আত্মীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে বাপ্পাদিত্য ও তাপসীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশের দাবি, জেরায় বাপ্পাদিত্য জানিয়েছেন, দশমীর রাতে পানপোতা এলাকায় খোকনের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। খোকনকে সজোরে চড় মারেন তিনি। তাতেই খোকনের মৃত্যু হয়। বাড়ি থেকে বস্তা এনে মৃতদেহ ভরে খোকনের সাইকেলে করেই বস্তা নিয়ে যান বর্ধমামা-আরামবাগ রোডে।

মৃতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, ঘটনার নেপথ্যে হাত রয়েছে তাপসীরই।

তদন্তকারীদের অনুমান, ঘটনায় জড়িত তৃতীয় কেউ।

পুলিশ সূত্রে খবর, সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখা হচ্ছে না স্ত্রীকে।