পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হল একই পরিবারের দুই মহিলার। গতকাল সন্ধে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ছাতনা থানার পাল্লা গ্রামে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত দুই মহিলার নাম ছায়া রক্ষিত ও আঙুর বালা রক্ষিত। ইতিমধ্যেই পুলিশ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে। 


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে গতকাল সন্ধেতে অন্যান্য দিনের মতোই বাড়ির উঠোনে থাকা কাপড় মেলতে যান দু-জন। এর পর ধাতব তারে ভেজা জামা কাপড় ঝোলাতে গেলেই বিপত্তি ঘটে। ছায়া রক্ষিত ও আঙুর বালা রক্ষিত দু-জনেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হন এবং পড়ে যান। পরিবারের অন্যান্যরা ও স্থানীয় ছাতনা থানায় খবর দেন।


ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে সেখানেই ওই দু-জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।স্থানীয়রা বলছেন উঠোনের ওই ধাতব তারের সঙ্গে বিদ্যুৎবাহী তারের সংযোগ ঘটেছিল কোনওভাবে। আর তা থেকেই দুর্ঘটনা। তবে ঠিক কীভাবে মৃত্যু ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। 


কয়েক সপ্তাহ আগে জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ফের শহরে এক যুবকের। শুক্রবার পাটুলিতে ১৮ বছর বয়সী সুজয় মণ্ডল বিকেল ৪টে নাগাদ রাস্তায় জমা জলে মাছ ধরছিলেন। কিছুক্ষণ পরে তাঁকে ছটফট করতে দেখেন স্থানীয়রা। সেখানে সিইএসসি কর্মীরা পৌঁছলে গাড়ি ভাঙচুর করে হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে পাটুলি থানার পুলিশ। 


পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনার দুর্যোগ বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান মানিক বারুই নামে এই ব্যক্তি। হরিদেবপুরের ২২ বিঘার কাছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, তিনি পেশায় ড্রাইভার। গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন ত্রাণ পৌঁছে দিতে। কাজ শেষ হতেই ফিরছিলেন বাড়ি। স্ত্রীকে ফোনে জানিয়েছিলেন শীঘ্রই ফিরছেন। কিন্তু তা আর হল না। আচমকা বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে বছর ৩৬-এর বাইক চালকের উপর। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।  হরিদেবপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের তিন কর্মীকে শোকজ করে বিদ্যুৎ দফতর।