ভাস্কর ঘোষ, হাওড়া: রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে চার্টার্ড ফ্লাইটে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ডোমজুড়ে বিজেপির হয়ে লড়াইও করেছিলেন তিনি। কিন্তু তৃণমূল প্রার্থীর কাছে হেরে যেতে হয় তাঁকে। বিগত কিছুদিন ধরেই তাঁর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। যা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেও বিতর্ক বাড়ছে।  এরইমধ্যে আজ ফের রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ডোমজুড়ের জগাছা ব্লকে। পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘মীরজাফর রাজীবকে দলে নেওয়া চলবে না’। এই পোস্টার পড়েছে ডোমজুড়বাসীর নামে।এই ঘটনায় এখনও কোনও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি।


গত দুদিন ধরেই ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বিক্ষোভ চলছে। কুশপুতুল দাহ করা হয়েছে এবং বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারও পড়েছে তাঁর  বিরুদ্ধে। আজ আবার ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রে নিশিন্দার বিভিন্ন এলাকায় রাজচন্দ্রপুর রেলওয়ে স্টেশন, রামচন্দ্রপুর বাজার, নিশ্চিন্দা থানার সামনে বালি হল্ট, বেলুড় স্টেশন, ষষ্ঠী তলা মোড়, ঘোষপাড়া বাজার, বামন ডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় এ ধরনের পোস্টার দেখা গিয়েছে। পোস্টারে লেখা, ‘নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তাঁর এই বাংলায় ঠাঁই নাই, মীরজাফর-গদ্দার-বেইমান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডোমজুড়ে ঠাঁই নাই। ১০ বছর দলে থেকে সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সেই দলের কর্মীদের মারধোর মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে নেয়া চলবে না’। বলা যেতে পারে, এভাবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিয়ে প্রতিদিনই বিক্ষোভ পোস্টার-ব্যানার ডোমজুড় কেন্দ্রে পড়ছে।


শনিবার হঠাৎই, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বাড়িতে হাজির হন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর গাড়িতে দেখা যায় মা-মাটি-মানুষ লেখা উত্তরীয় এবং তৃণমূলের ব্যাজ।পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মায়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে রবিবার তাঁর বাড়িতেও যান রাজীব।এরপরই, সোমবার সকালে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পোস্টার নিয়ে তাঁর প্রাক্তন বিধানসভা কেন্দ্র ডোমজুড়ের সলপ বাজার থেকে বটতলা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার মিছিল করেন তৃণমূল কর্মীরা। পরে, হাওড়া-আমতা রোড অবরোধও করেন তাঁরা।রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে ফেরানোর বিরোধিতায় আগাগোড়া সরব, হাওড়ার রাজনীতিতে তাঁর বিপক্ষ গোষ্ঠীর প্রধান মুখ বলে পরিচিত অরূপ রায়! যদিও, এ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের মুখে কুলুপ।