রাজীব চৌধুরী, ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, সন্দীপ সরকার:  বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে বোমা বিস্ফোরণের অভিঘাত যে কতটা মারাত্মক ছিল, বৃহস্পতিবার সকালে ওই এলাকার ছবি দেখলেই বোঝা যাচ্ছিল। 


চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ছেড়া চটি-জুতো। পড়ে আছে জামা-কাপড়ের টুকরো।  শুধু প্ল্যাটফর্ম নয়, রেললাইন থেকেও মিলেছে এরকম নমুনা।


কিন্তু কীভাবে বিস্ফোরণ হল, কী বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল? অভিযুক্তদের ধরতে সিআইডি-কে তদন্তভার দিয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 


বুধবার রাতের ঘটনার পর প্রথমে আজিমগঞ্জ জিআরপি তদন্ত শুরু করে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে জিআরপি-র থেকে তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি।


বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিআইডি-র বম্ব স্কোয়াড। বেলা ১২টা নাগাদ  যান সিআইডি-র অফিসাররা। প্ল্যাটফর্ম ও রেললাইন থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা।  ফটোগ্রাফির সঙ্গে ভিডিওগ্রাফিও করা হয়। একইসঙ্গে স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি চালানো হয় স্টেশন চত্বরে। 


বুধবার রাতে ঘটনার পর থেকেই নিমতিতা স্টেশন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।স্টেশনের চারদিকে মোতায়েন রয়েছে আরপিএফ। বিস্ফোরণের মুহূর্তের এই ভিডিও দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, মন্ত্রীর একেবারে সামনেই বোমাটি ফাটানো হয়েছে। 


সিআইডি সূত্রে খবর, ঘটনার সময় তোলা মোবাইল ফোনে ভিডিও সংগ্রহ করা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আশপাশে সিসিটিভি ফুটেজ। মুর্শিদাবাদের প্রাক্তন পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বর্তমানে তৃণমূল নেতা। তিনি মনে করছেন, খুব শক্তিশালী বোমা ব্যবহার করা হয়েছে নিমতিতায়। 


বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।