রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি:  জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বারোপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জোড়া রহস্যমৃত্যু। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে আত্মহত্যা করেছেন তরুণ-তরুণী। 


সাতসকালে চা বাগানের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পথ আটকেছিল এক দৃশ্য। একই শাড়ির ফাঁসে গাছে ঝুলছে পর পর দুটি দেহ।  আঁতকে উঠেছিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। 


জোড়া রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বারোপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। মৃত তরুণের নাম নির্মল রায়। মৃত্যু হয়েছে জয়শ্রী রায় নামে এক তরুণীর। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত যুবকের বাড়ি এই বারোপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই। গৃহবধূর বাড়ি রাজগঞ্জের সরকার পাড়া এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, তরুণ-তরুণী দুজনেই বিবাহিত ছিলেন। 


খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে আত্মহত্যা করেছেন যুগলে। 


ঘটনাস্থলের পাশ থেকে একটি বাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় দুজনের পরিবারের তরফেই কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।


দিন পাঁচেক আগে, গত ২০ তারিখ রায়গঞ্জে বাড়ির কাছ থেকে উদ্ধার হয় কংগ্রেস নেতার ঝুলন্ত দেহ। তৃণমূলের পতাকা দিয়ে বাঁধা ছিল মুখ। মৃতের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন। 


পরিবারের দাবি, আগের দিন সন্ধেয় বেরিয়েছিলেন কংগ্রেসের বুথ সভাপতি। রাতে বাড়ি ফেরেননি। পরের দি ন ভোরে বাড়ির কাছে আমবাগান থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। 


মুখে গোঁজা ছিল তৃণমূলের পতাকা। খুনের নেপথ্যে তৃণমূল অথবা বিজেপির হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করে মৃত কংগ্রেস নেতার পরিবার। 


তৃণমূলকে বদনাম করতেই পতাকা ব্যবহার করা হয়েছে, পাল্টা দাবি করে শাসক শিবির। অন্যদিকে, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য মৃতকে বিজেপি নেতা বলে দাবি করেন।


রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার এসপি জানান, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। কীভাবে মৃত্যু, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যাবে।