রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ডুয়ার্সের জঙ্গলে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে হাতির সংখ্যা। আর সেই জঙ্গল থেকে প্রায়শই খাবারের খোঁজে লোকালয়ে চলে আসছে হাতির দল। যার ফলে আতঙ্কে দিন কাটছে ডুয়ার্সের গ্রামবাসীদের। হাতির তাণ্ডবের মুখে পড়ে এবার ঘুম উড়েছে ডুয়ার্সের বাসিন্দাদের। সোমবারও তেমনই অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকতে হল ডুয়ার্সের গ্রামবাসীদের।


সোমবারই গভীর রাতে খাবারের সন্ধানে জঙ্গল ছেড়ে গয়েরকাটা চা-বাগানের শ্রমিক মহল্লায় হানা দেয় একটি বুনো দাঁতালের দল। এরপর রাতভর তাণ্ডব চালায় তারা। একাধিক বসতবাড়ি, দোকান ও কলাবাগানে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় সেই দাঁতালের দলটি। স্থানীয় সূত্রের খবর, গয়েরকাটা চা বাগানের হিন্দুপাড়ার বিস্তার লাইনে পার্শ্ববর্তী মোরাঘাট জঙ্গল থেকে একটি দলছুট বুনো দাঁতাল হাতি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল। এরপর তুলসী হাঁসদা নামে একজনের মুদির দোকানে হামলা চালায় তারা। পুরো গুড়িয়ে দেয় সেই দোকান ঘর হাতিল দলটি।


এরপর আতঙ্কে গ্রামবাসীরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে হাতিল দলও ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। তখনই সোমারি খালকো নামে এক মহিলার বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় হাতিল দলটি। সেখানেও একটি পাকা ঘর ভেঙে দেয় হাতির দলটি। সে সময় সেই মহিলা ও তাঁর পরিববারের সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। এলাকাবাসীর চিৎকার চেঁচামেচি শুনে কোনওমতে পেছনের গেট দিয়ে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন তাঁরা।


হাতির দলটি এরপর ঘরে ঢুকে আলমারি চেয়ার ও খাট ভেঙে দেয়। একইসঙ্গে ঘরে মজুত করে রাখা আটার বস্তা নিয়ে পেছনের কলা বাগান দিয়ে পালিয়ে যায়। অন্যদিকে একই রাতে গয়েরকাটা চা বাগানের লোদ্রলাইন এলাকায় দাঁতাল হাতি হানা দিয়ে বন্ধন ওঁরাও নামে এক ব্যক্তির ঘরে হামলা চালিয়ে ঘর ভেঙে দেয়।


এর আগেও বারবার হাতির তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে ডুয়ার্সের গ্রামবাসীদের। প্রাণ হাতে নিয়েই রীতিমতো সেই এলাকায় বাস করতে হচ্ছে তাঁদের। বনকর্মীদের তৎপরতা সত্ত্বেও বারবার হাতির দল গ্রামের ভেতরে লোকালয়ে চলে আসছে।