কলকাতা: জেসপে লাগাতার চুরি এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সোমবার ভবানী ভবনে ডেকে সংস্থার ৩ আধিকারিককে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। আর সেই জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে পুরনো আর্থিক প্রতারণা সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার হলেন, জেসপের সিইও অশোক অগ্রবাল।
মঙ্গলবার ভবানী ভবনে বেলা ১২টা থেকে জেসপের সিইও অশোক অগ্রবাল, সংস্থার ফিনান্স দফতরের জিএম আরেক অশোক অগ্রবাল এবং প্রাক্তন ফিনান্স অফিসার মহেশ গুপ্তকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে সিআইডি।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় সিআইডি অফিসাররা জানতে পারেন, জেসপের সিইও অশোক অগ্রবালের বিরুদ্ধে দমদম থানায় একাধিক আর্থিক প্রতারণার মামলা রয়েছে। পাশাপাশি আরও জানা যায়, অশোকের নামে ২৪টি গ্রেফতারি পরোয়ানা এবং কয়েকটি মামলায় হুলিয়াও জারি রয়েছে।
এরপর ভবানী ভবন থেকে খবর যায় দমদম থানা। পুলিশ পুরনো মামলার নথি নিয়ে আসার পর গ্রেফতার করা হয় জেসপের সিইও অশোক অগ্রবালকে। এদিকে জেসপে লাগাতার চুরির ঘটনায়, প্রদীপ নন্দী ও বিশ্বজিৎ কর্মকার নামে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই নিয়ে চুরিকাণ্ডে গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫। সিআইডি সূত্রে খবর, জেসপকাণ্ডে অন্তর্ঘাতের ইঙ্গিত মিলেছে। তদন্তকারীরা একপ্রকার নিশ্চিত যে, কর্তৃপক্ষের নজরদারির গাফিলতি ছিল। আর সেজন্যই অবাধে দিনের পর দিন চলেছে লুঠ, অগ্নিসংযোগ।
এসব নিয়ে সোমবার সংস্থার ৩ জনকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। বুধবার ভবানী ভবনে তলব করা হয়েছে মালিক পবন রুইয়াকে। এর পাশাপাশি কারখানায় চুরির ঘটনায় পবন রুইয়ার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে দমদম থানার পুলিশ। সেই এফআইআর খারিজের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলাও করেছেন রুইয়া। বুধবার মামলার শুনানি।
এদিকে, ফের শিফট ডিউটি শুরু হওয়ায় এদিন ব্যারাকপুরে ডেপুটি লেবার কমিশনের অফিসে গিয়ে হাজিরা দিয়ে আসেন জেসপের কর্মীরা। সেখানেই আবীর খেলায় মেতে ওঠেন তাঁরা।