অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম : ঝাড়গ্রামের আমলাচটিতে হাতির তাণ্ডব। দাঁতালের হানায় মৃত্যু হল বনকর্মীর। এখনও এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৪টি হাতির একটি দল। আর যার জেরে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই এলাকা থেকে অন্য এলাকায় হাতির দলটিকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বনদফতরের আধিকারিক।


জঙ্গলমহলে ফের হাতির হানা। দাঁতালের আক্রমণে রবিবারের পর সোমবার পরপর দুদিনে দু’জনের মৃত্যু হল। হাতির তাণ্ডবে আতঙ্কে ঝাড়গ্রামের আমলাচটি এলাকা। বনদফতর সূত্রে খবর, দাঁতালের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে লোধাসুলি রেঞ্জের ফরেস্ট গার্ড বুদ্ধদেব শবরের। 


ঝাড়গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা জীতেন্দ্রনাথ মাহাতো বলেছেন, 'সোমবার সন্ধেয় দাঁতালের আক্রমণে মৃত্যু হয় লোধাসুলি রেঞ্জের ফরেস্ট গার্ড। আমরা সবাই আতঙ্কে আছি। হাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা এলাকা।' অপর এক স্থানীয় বাসিন্দা শম্পা মাহাতোর গলাতেও আতঙ্কের সুর। তিনি বলেছেন,  'বনদফতর হাতি তাড়িয়ে দেয় কিন্তু আবার চলে এসে তাণ্ডব চালায়।' ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার জানিয়েছেন, ওই এলাকা থেকে অন্য এলাকায় হাতির দলটিকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।  


কয়েকদিন আগেই, এক গ্রামবাসীকে শুঁড়ে তুলে আছড়ে মারে দাঁতাল। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন ঝাড়গ্রামের কলাবনির বাসিন্দারা। রাজ্য সড়ক আটকে ৩ ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখান তারা। বন দফতর ও প্রশাসনিক আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছিল। মৃতের পরিবারের হাতে সরকারি সাহায্য তুলে দিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।


বন দফতর সূত্রে খবর, দলমা থেকে ঢুকে পড়া ৪-৫টি হাতি ঝাড়গ্রামে রয়ে গিয়েছে দীর্ঘদিন আগে থেকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সেই হাতিগুলি বাগানের আম-কাঁঠাল থেকে খেতের আলু-কপি, সাবাড় করছে দিনের পর দিন।- রবিবার হাতির হানায় কলাবনির বাসিন্দা বছর পঁয়ষট্টির পারু মাহাতো প্রাণ যাওয়ার পরই এলাকাবাসীর ক্ষোভ বেড়েছে। 


জাতীয় সড়ক অবরোধের সময় স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, বার বার বলা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেয়নি বন দফতর। পরে অবশ্য ক্ষতিপূরণ ও স্থায়ী সমাধানের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিয়েছিলেন তাঁরা। এবার এক বনকর্মী দাঁতালের তাণ্ডবে মারা যাওয়ায় ফের আতঙ্কে ভুগছেন তাঁরা।