রঞ্জিত হালদার, কলকাতা:  বাংলাদেশের যুবককে অপহরণের অভিযোগে সোনারপুর থেকে গ্রেফতার সন্দেহভাজন জেএমবি জঙ্গি। উদ্ধার অপহৃত যুবক। ধৃত মুক্তার হোসেন অসমের নওগাঁর বাসিন্দা। 


অভিযোগ, বাংলাদেশের নেত্রকোণার বাসিন্দা হাফিজ মৌলানা মহম্মদ মামুনুর রশিদ ৭ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, পরে মামুনুর "আইএমও" অ্যাপের মাধ্যমে তাঁর ভাইকে মেসেজ পাঠান যে, তিনি বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে এক ভারতীয় বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। 


অভিযোগ, ৮ মার্চ ওই অ্যাপের মাধ্যমে জানানো হয়, মামুনুরকে অপহরণ করে বেঁধে রাখা হয়েছে। মুক্তিপণ বাবদ ১ কোটি টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। 


১৩ মার্চ লালবাজারে অভিযোগ দায়ের করেন অপহৃত যুবকের ভাই। তদন্তে নেমে গতকাল সোনারপুরের বৈদ্যপাড়া থেকে সন্দেহভাজন জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ।


আরও পড়ুন:

এক মাস ফোনে নজরদারি, বীরভূমে গ্রেফতার সন্দেহভাজন জেএমবি জঙ্গি, উদ্ধার কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রচুর জেহাদি বই ও লিফলেট


এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফের অভিযানে গ্রেফতার সন্দেহভাজন জামাত-উল-মুজাহিদিন বা জেএমবি জঙ্গি। 


এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম নাজিবুল্লা ওরফে হাক্কানি ওরফে আবু শিবাতুল্লা। বাড়ি বীরভূমের পাইকর থানার কাশিমনগরে। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।


এসটিএফের দাবি, ধৃতের কাছ থেকে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রচুর জেহাদি বই ও লিফলেট উদ্ধার হয়েছে। নাজিবুল্লার একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণও মিলেছে। 


এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে,খাগড়াগড় কাণ্ডের পর এই নাজিবুল্লা সন্দেহের তালিকায় ছিল। সেইসময় তাকে এনআইএ-র জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ছেড়ে দেয়। তবে তার কাজকর্মের উপর নজর রাখছিল রাজ্য পুলিশ। এক মাস ধরে তার মোবাইল ফোনে নজরদারি চালানোর পর গ্রেফতার করা হয়। 


আরও পড়ুন

বাংলাদেশে গরু পাচারকারীদের সঙ্গে যোগ জেএমবি জঙ্গিদের! দেশজুড়ে অভিযানে সিবিআই, নজরে বিএসএফ কমাডান্ট সহ একাধিক অফিসার


এর আগে গত ২৯ মে মুর্শিদাবাদের সুতি থেকে আব্দুল করিম নাম এক জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ।এর কিছুদিন পর ৮ জুন, বীরভূমের ইলামবাজার থেকে ধরা পড়ে আরও এক জেএমবি জঙ্গি। এবার ধরা পড়ল আরও এক সন্দেহভাজন জেএমবি জঙ্গি।


গত বছর সেপ্টেম্বরে ২০১৪ সালে বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া চার জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) জঙ্গির সাজা ঘোষণা করে বিশেষ এনআইএ আদালত।


জিয়াউল হক, মতিউর রহমান, মহম্মদ ইউসুফ ও জহিরুল শেখের সাত বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা হয়।