উত্তর ২৪ পরগনা: হেনস্থার পর এবার আক্রান্ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের। নয়া বিতর্কে ব্যারাকপুর সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। ঘটনায় বিস্মিত শিক্ষামহল। শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি।

প্রথমে হেনস্থা। পরে আক্রান্ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেই থানায় নালিশ! নিজের দোষ ঢাকতে তৎপর ব্যারাকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তথা তৃণমূলপন্থী অধ্যাপক সংগঠন ‘ওয়েবকুপা’র রাজ্য সভাপতি কৃষ্ণকলি বসু! পরিচালন সমিতির নির্বাচনের মনোনয়ন পেশ ঘিরে অশান্তির খবর সংগ্রহ করতে, শুক্রবার কলেজে যান সাংবাদিকরা। কেন অনুমনি না নিয়ে কলেজে ঢুকেছেন সাংবাদিকরা, এই প্রশ্ন তুলে তাঁদের নিজের ঘরে আটকে রেখে, গ্রেফতার করানোর হুমকি দেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ! এখানেই থামেননি কৃষ্ণকলি বসু! রাত পর্যন্ত কলেজে বৈঠক করে, ব্যারাকপুর থানায় এবিপি আনন্দ-সহ ৪ সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে নালিশও করেছেন তিনি! ঘরে আটকে রেখে দীর্ঘক্ষণ হেনস্থা করলেও, উল্টে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হুমকি এবং অনধিকার প্রবেশের অভিযোগ এনেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ! কৃষ্ণকলি বসুর অভিযোগের প্রেক্ষিতে, বিনা অনুমতিতে প্রবেশ, হুমকি ও একই উদ্দেশে অপরাধ সংগঠিত করার অভিযোগের ধারায় মামলাও রুজু করেছে ব্যারাকপুর থানার পুলিশ। প্রতিটি ধারাই জামিনযোগ্য।

ব্যারাকপুরে সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের এই আচরণে বিস্মিত শিক্ষাবিদদের একাংশ। ঘটনায় সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি উঠেছে শিক্ষামহল থেকে। থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কৃষ্ণকলি বসু দাবি করেছেন, সাংবাদিকরা নাকি বিনা অনুমতিতে কলেজে ঢুকেছিলেন! যদিও বাস্তবটা হল, শুক্রবার কলেজে ঢোকার সময়, সাংবাদিকদের কেউ-ই বাধা দেননি! কলেজে ঢোকা যাবে না, একথা বলেননি কোনও নিরাপত্তারক্ষী! কলেজে ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত কোনও নির্দেশিকাও চোখে পড়েনি! নেহাতই খবর সংগ্রহের উদ্দেশ্য নিয়েই শুক্রবার কলেজে গিয়েছিলেন সাংবাদিকরা! আর সেই পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়তে হয় তাঁদের।

শনিবার অবশ্য ব্যারাকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজের মূল গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। যারা আসছিলেন, তাঁদের তালা খুলে ঢোকানো হয়।