সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: শুক্রবার তৃণমূলে সেকেন্ড ইনিংস শুরু করেছেন মুকুল রায়। তারপর থেকেই একে একে তাঁর অনুগামীরাও বেসুরো হতে শুরু করেছেন বিজেপিতে। এই প্রেক্ষাপটে দলবদলের গুঞ্জন ছড়ালো উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায়কে ঘিরে।


কিন্তু কেন? বিধানসভা ভোটের আগে উত্তর দিনাজপুরের জেলা বিজেপি সভাপতি একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেন। তাতে ছিলেন কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়কও। কিন্তু রবিবার সন্ধে সাতটা ৩৫ মিনিট নাগাদ হঠাত্‍ই সেই গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যান তিনি। এরপরই তাঁকে ঘিরে দলবদলের জল্পনা শুরু হয়।


আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার বাসিন্দা সৌমেন রায় আগে তৃণমূলে ছিলেন। সূত্রের খবর, সেইসময় মুকুল রায়ের অনুগামী বলে পরিচিত ছিলেন তিনি। বছর দেড়েক আগে সৌমেন রায় বিজেপিতে যোগ দেন। এবার কালিয়াগঞ্জে বিজেপির হয়ে জিতে বিধায়ক হন তিনি।মুকুল রায়ের দলবদলের পর, তাঁর অবস্থান ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে।


উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল নেতা অরিন্দম সরকারের কটাক্ষ, ৭৩ থেকে ৩-এ দাঁড়াবে কিনা সেটাই দেখার। বহু নেতা বিধায়করা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। এ ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।


উত্তর দিনাজপুর জেলার বিজেপি সভাপতি বাসুদেব সরকার অবশ্য বলেছেন,ওর মা অসুস্থ। তাই মাকে দেখতে ফালাকটার বাড়িতে গিয়েছেন। ২-১ দিনের মধ্যে ফিরে আসবেন। এখন তো মুড়ি মুড়কির মতো গ্রুপ তৈরি হয়েছে। কেউ যোগ হয়, কেউ বেরিয়ে যান।


এ বিষয়ে বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অবশ্য সাফ জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে কুত্‍সা রটানোর চেষ্টা চলছে। তিনি বিজেপিতেই আছেন। দলবদলের কোনও প্রশ্নই নেই। তবে জেলা বিজেপি সভাপতির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কিছু বলতে চাননি কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক।


উল্লেখ্য, মুকুল রায় তৃণমূলে যোগদানের পর বিজেপির অন্দরে তাঁর অনুরাগীদের অনেকেই বেসুরো গেয়েছেন। এই অবস্থায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।