কলকাতা: কলকাতা পুরসভার ৮২ নম্বরে ওয়ার্ডে ১৪ হাজারেরও বেশি ভোট জিতেছেন ফিরহাদ হাকিম। জয় প্রত্যাশিত থাকলেও ভোটের দিন চিন্তিত ছিলেন ববি। মঙ্গলবার বাড়ির কাছে চেতলা অগ্রণী ক্লাবে কন্ট্রোল রুম খুলে নজর রাখছিলেন তিনি। জয়ের নম্বর উঠতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দৌঁড়েছিলেন। বন্দর বিধানসভা এলাকার সাতটি ওয়ার্ডেই জিতে তাই উচ্ছ্বসিত ফিরহাদ।               

  


সেই উচ্ছ্বাস দেখা গেল ববির বাড়ির অন্দরেও। বড় মেয়ে প্রিয়দর্শিনীর কন্যাকে আয়াতকে কাঁধে নিয়ে রীতিমত কোমর দুলিয়ে নাচলেন ফিরহাদ। সেই ক্ষণিকের কোমর দুলিয়ে নাচার দৃশ্য টুইটারে পোস্টও করেছেন সাবা হাকিম। টুইটে লেখেন, ‘প্রিয় মানুষটির সঙ্গে জয় উপভোগ করছেন ফিরহাদ হাকিম।’                            



শুধু তাই নয়, নাতনি আয়াতের আবদারে শীতের সন্ধ্যায় হুডখোলা বাসে কলকাতাও ঘুরিয়েছেন 'দাদু' ফিরহাদ। চেতলা অগ্রণীর মাঠে দাঁড়িয়ে ছিল রাজ্যের পর্যটন দফতরের বাস। ডাবল ডেকার সেই নীল-সাদা বাসে করে শহর ঘুরে দেখলেন দাদু-নাতনি।পুর নির্বাচনে জয়ের অভিবাদন গ্রহণ করলেন চেতলার মানুষের। একটি ভিডিওতে দেখা যায় দাদুর কাছে আবদার করেছিল আয়াত আইসক্রিম খাওয়ার। যদিও ঠান্ডার জন্য সেই আবদার অবশ্য রাখেননি ফিরহাদ। 


কলকাতা পুরনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের পর ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ফিরহাদ হাকিম বলেন, "মানুষের প্রত্যাশা, বিশ্বাস পূরণ করাটা কর্তব্য। যা বলেছি তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। আমি কৃতজ্ঞ, কৃতার্থ এই আশীর্বাদে। যতদিন বাঁচব মানুষের এই ঋণ ও বিশ্বাস জীবন দিয়ে পূরণের চেষ্টা করব।"            


ফিরহাদ হাকিমের স্ত্রীর কথায়, "তৃণমূলের পরিবার আরও বাড়ছে। আগে আমি আসতাম। এখন আমার মেয়েরাও আসছে।" ফিরহাদ হাকিমের প্রসঙ্গে মন্ত্রী-জায়া বলেন, "সবার হয়ে কাজ করেন। মানুষের কাজ করে যান সবসময়। শ্মশানে, হাসপাতালেও যান মানুষের জন্য। সেই ফলই ভোটের বাক্সে।"