কলকাতা: মহানগরে  লাফিয়ে বাড়ছে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ। এরই মধ্যে এনআরআস হাসপাতালে আক্রান্তর সংখ্যা বেড়ে ১৯৮ জন। আর জি কর-এ আক্রান্তর সংখ্যা ১২৪ জন। কলকাতা মেডিক্যালে সংক্রমিত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা ২৫০ পার। চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যালে আক্রান্ত ১৮৪ জন ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী।


অন্যদিকে, করোনায় বেহাল ঝাড়গ্রামের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার সহ একাধিক চিকিৎসক আক্রান্ত। সংক্রমণের থাবা করোনা পরীক্ষার ল্যাবেও। ৬ টেকনিশিয়ানের মধ্যে ৫ জনই করোনা আক্রান্ত বেলপাহাড়ি হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার সহ একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী সংক্রমিত। নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও ডাক্তার, নার্স সহ ৮ জন আক্রান্ত।


আরও পড়ুন, ‘টিকার ককটেল নয়, বুস্টার ডোজ হতে হবে একই সংস্থার’, জানাল আইসিএমআর


এছাড়াও, পুলিশ বাহিনীতেও চওড়া করোনার থাবা। হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটে অন্তত ৪০ জন পুলিশ কর্মী করোনা আক্রান্ত। সংক্রমিত ১০ সাব ইন্সপেক্টর, ৩০ এএসআই ও একাধিক কনস্টেবল। ঝাড়গ্রামে করোনা আক্রান্ত এক ডেপুটি পুলিশ সুপার। চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্যের পরিস্থিতি। কলকাতায় সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ৪৪ শতাংশেরও বেশি। রাজ্যে একদিনে করোনায় ১৪ হাজার ২২জন আক্রান্ত। রাজ্যে একদিনে করোনায় ১৭জনের মৃত্যু। শুধু কলকাতাতেই একদিনে করোনা আক্রান্ত ৬ হাজার ১৭০। শুধু কলকাতাতেই একদিনে করোনায় ৫জনের মৃত্যু। উঃ ২৪ পরগনায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ২ হাজার ৫৪০। উঃ ২৪ পরগনায় একদিনে করোনায় ৫জনের মৃত্যু। গতকালের তুলনায় একদিনে ৫ হাজার বেশি করোনা আক্রান্ত। 


আরও পড়ুন, ‘বেঁচে ফিরতে পেরেছি, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ’, বিমানবন্দরে ফিরে বার্তা মোদির


অন্যদিকে, দেশে করোনায় দৈনিক সংক্রমণ একলাফে বাড়ল ৫৫%। ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ হাজার ছাড়াল আক্রান্তর সংখ্যা। গত ৮ দিনে দেশে ৬ গুণেরও বেশি সংক্রমণ। সংক্রমণের হার দশমিক ৭৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫ শতাংশ পার। সংক্রমণের হারে মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। দেশের ২৮ জেলার পরিস্থিতি সবথেকে ভয়াবহ। ১০ শতাংশের উপরে সংক্রমণের হার দেশের ২৮ জেলায়।