আবীর দত্ত, কলকাতা:  নিউমার্কেট থানা এলাকায় দমকলের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের। তাঁদের দাবি, পরীক্ষায় পাস করা সত্ত্বেও নিয়োগ করা হচ্ছে না। পরে দমকলের ডিজির আশ্বাসে বিক্ষোভ মেটে।


দিনকয়েক আগেই পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে ভবানী ভবনের সামনে ধুন্ধুমার হয়। এবার   এদিন বিক্ষোভ দেখালেন দমকলের চাকরিপ্রার্থীরা। তবে মঙ্গলবার এই বিক্ষোভ ঘিরে অশান্তির কোনও ঘটনা ঘটেনি। 


নিউমার্কেট থানা এলাকায় মির্জা গালিব স্ট্রিটে দমকলের সদর দফতর। সেই দফতরের সামনেই মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ জড়ো হন প্রায় আড়াইশো জন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের দাবি, দমকলে চাকরির পরীক্ষায় পাস করেছেন। উত্তীর্ণদের তালিকায় নামও উঠেছে। কিন্তু নিয়োগ হচ্ছে না। দ্রুত নিয়োগের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রার্থীরা। 


ঘটনাস্থলে আসে নিউমার্কেট থানার পুলিশ।  চাকরিপ্রার্থীদের এক প্রতিনিধিদল তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে দমকলের ডিজিপি নীরজনয়নের সঙ্গে দেখা করেন।  ফিরে এসে চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধিরা জানান, দমকলের ডিজির আশ্বাসে তাঁরা অবস্থান তুলে নিচ্ছেন। এক চাকরিপ্রার্থী বলেছেন, ডিজি জানিয়েছেন, আদালতে বকেয়া  মামলা উঠে গেলে নিয়োগ হবে।


করোনা পরিস্থিতি দেশের অর্থ ব্যবস্থায় বড় ধাক্কা দিয়েছে। বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। যে কোনও চাকরির জন্য হাহাকার চারদিকে। এই প্রেক্ষিতে এখন তাঁদের নিয়োগপত্র কবে আসবে, সেই দিকেই তাকিয়ে দমকলের চাকরিপ্রার্থীরা। 


কয়েকদিন আগেই কনস্টেবল পদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে ভবানীভবনে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল। দফায় দফায় বৈঠকেও অনড় ছিলেন চাকরীপ্রার্থীরা। লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিশ। বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ ছিল, ২০১৯ থেকে কনস্টেবল পদে নিয়োগপ্রক্রিয়া থমকে রয়েছে। আইনি জটিলতার কারণে, নিয়োগপ্রক্রিয়া স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে বিচারাধীন।তাই, অনেকেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পেয়ে গেলেও কাজে যোগ দিতে পারছেন না। দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শেষ ও নিয়োগ শুরুর দাবিতে ওই দিন ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশের সদর দফতরের সামনে জড়ো হন কয়েক’শো চাকরিপ্রার্থী। রাজ্য পুলিশের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হতেই, গোটা এলাকা ছেয়ে যায় পুলিশে। ডিসি সাউথ, প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে বোঝানোর চেষ্টা করেন চাকরিপ্রার্থীদের। পুলিশ সূত্রে খবর, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দেওয়া হয়।কিন্তু, তাতে কর্ণপাত করেননি চাকরিপ্রার্থীরা। উল্টে লিখিত প্রতিশ্রুতি দাবি করেন তাঁরা। বিক্ষোভ তুলে নিতে বারবার প্রচার করে পুলিশ। পরে পুলিশের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, ৫ মিনিটের মধ্যে, রাস্তা ফাঁকা করে দিতে হবে। কিন্তু, চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভে অনড় থাকে। এরপর লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে, মৃদু লাঠি চালায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়।